প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের সাংগঠনিক ও কর্মসূচি নিয়ে ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে নন্দীগ্রাম-১, হলদিয়া, নন্দকুমার, ভগবানপুর-২, কাঁথি -২ ব্লকের সভাপতিদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকে ওই ব্লক সভাপতিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন মমতা। ওই সব ব্লক সভাপতিরা শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত এবং সম্প্রতি শুভেন্দুর বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাঁদের দেখা গিয়েছে।
শুক্রবার মমতার ওই নির্দেশের পরে শনিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল ও ভগবানপুর-২ ব্লক সভাপতি মানব পড়ুয়াকে পদ সরিয়ে দেওয়া হয়। নন্দীগ্রাম -১ ব্লকে নতুন সভাপতি হয়েছেন স্বদেশ দাস। ভগবানপুর-২ ব্লকে নতুন সভাপতি শশাঙ্ক জানা। যদিও এদিন নন্দকুমার, হলদিয়া ও কাঁথি- ২ ব্লকের সভাপতি পদে থাকা তৃণমূল নেতাদের সরানো হয়নি। কিন্তু শনিবার বিকেলে নন্দকুমারের খঞ্চি হাইস্কুল ময়দানে তৃণমূলের সভায় রামনগরের বিধায়ক তথা দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি নন্দকুমার ব্লকে নতুন সভাপতি হিসেবে দীননাথ দাসের নাম ঘোষণা করেন। যদিও বর্তমান ব্লক সভাপতি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সুকুমার বেরাকে শনিবার রাত পর্যন্ত অপসারণ করা হয়নি বলে তাঁর দাবি।
অপসারণের আগেই প্রকাশ্য সভায় নতুন ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সুকুমার বেরার দাবি, ‘‘সভাপতি পদ থেকে আমাকে সরানোর বিষয়ে দলীয়ভাবে কিছু জানানো হয়নি। অথচ গতকাল জনসভায় বিধায়ক অখিল গিরি এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে ব্লক সভাপতি হিসেবে দীননাথ দাসের নাম ঘোষণা করেছেন।’’
অখিলের অবশ্য দাবি, ‘‘নন্দকুমার ব্লকে দলের সভাপতি দীননাথ দাস হবে এটা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছেন। আমি জেনেছিলাম বলেই সভায় জানিয়েছি। সুকুমার বেরার কথায় দল চলবে না। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy