চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়ার পুরসভায়।
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়ার পুরসভায়। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও দুই বিজেপি কাউন্সিলরের সমর্থনে তৃণমূল কাউন্সিলর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় প্রকাশ্যে গোষ্ঠী বিবাদ। যার জেরে বিড়ম্বনায় শাসকদল।
১০ ওয়ার্ড বিশিষ্ট খড়ার পুরসভার আট ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে আসে গত পুরভোটের নির্বাচনে। এর পরেই ওই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্ন্যাসী দোলুইকে চেয়ারম্যান পদের জন্য মনোনীত করেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব। বুধবার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি শুরু হতেই বাধে গোলমাল। চেয়ারম্যান হতে চেয়ে সন্ন্যাসীর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পড়েন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অদ্যুৎ মণ্ডল। ভোটাভুটিতে সন্ন্যাসী ও অদ্যুৎ দু’জনেই চারটি করে ভোট পান। কিন্তু দুই বিজেপি কাউন্সিলর অদ্যুৎকে সমর্থন করে দেওয়ায় তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শেষমেশ। এর পরেই শপথ গ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর অদ্যুৎ বলেন, ‘‘ভোটাভুটির মাধ্যমেই পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছি। কখনও কখনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় জনস্বার্থে। তাতে কিছু জনের ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা হয় না।’’ পাশাপাশিই, নিজেকে তৃণমূলের সর্বময়নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবেও তুলে ধরেন অদ্যুৎ। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে বিজেপি-কংগ্রেস বড় কথা নয়। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি। কিছু স্থানীয় নেতৃত্বের কারচুপির কারণে দলের মুখ পুড়ল। একে বিজেপি-র সমর্থন বলতে চাই না। সংখ্যাতত্ত্বে জিতেছি।’’
এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, ‘‘এই ঘটনা নিন্দনীয়। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। এই অবাধ্যতা দল সমর্থন করে না। যাঁরা দলের নির্দেশ অমান্য করেছেন, তাঁদের তৃণমূলে রাখা হবে কি না, তা ভেবে দেখা হবে। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দায়িত্বে থাকা দুই দলীয় সমন্বয়ককে জানানো হয়েছে। পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের সময়েও বিক্ষুব্ধদের বহিষ্কার করেছে দল। সেটা ভুলে গেলে চলবে না।’’
চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন প্রসঙ্গে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর ফাল্গুনী মিশ্র বলেন, ‘‘খড়ার পুরসভার সাধারণ মানুষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অদ্যুৎবাবুর নেতৃত্বে উন্নয়ন কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই জন্যই বিজেপি-র দুই কাউন্সিলর তাঁকে সমর্থন করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy