তমলুক পুরসভা অ্যাম্বুল্যান্স পেয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে
গায়ে ফুলমালা চড়িয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। অথচ পরিবহণ মন্ত্রীর জেলাতেই পরিবহণ দফতরের অর্থ বরাদ্দে পাওয়া ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্সটি তমলুক পুরসভার গ্যারাজে বন্দি। মাসের পর মাস পড়ে থাকায় ঢেকেছে ধুলোর চাদরে।
দুর্ঘটনাজনিত কারণে রোগীদের জেলার হাসপাতালে আনতে বা জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতা বা অন্য জায়গার হাসপাতালে নিয়ে যেতে ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’ দেওয়া হয়েছিল তমলুক পুরসভাকে। রাজ্যের পরিবহণ দফতর থেকে অর্থ বরাদ্দ করে আধুনিক যন্ত্রপাতি-সহ ওই অ্যাম্বুল্যান্স পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ভছর খানেক আগে। কিন্তু উদ্বোধনের পর একদিনের জন্য ওই অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার হয়নি বলে অভিযোগ। এক বছর ধরে সেটি তমলুক শহরের শালগেছিয়া এলাকায় পুরসভার গ্যারাজেই পড়ে রয়েছে।
কী কী সুবিধা থাকে এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সে?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্স সাধারণত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং সেখানে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু ‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছাডা়ও আধুনিক যন্ত্রপাতিযুক্ত অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত রোগীকে স্থানান্তরের সময় অ্যাম্বুল্যান্সেই প্রয়োজনে অস্ত্রোপচারের সুবিধা রয়েছে। রয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের মতো চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলে দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে স্থানান্তরের সময় জরুরিকালীন চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়।
ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স
• হাত-পা ভাঙা-সহ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীকে স্থানান্তরে জরুরি
• অ্যাম্বুল্যান্সে রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি যুক্ত অপারেশন থিয়েটার
• প্রয়োজনে রোগীকে স্থানান্তরের সময়ই চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করতে পারেন
• অক্সিজেন-সহ আপৎকালীন যাবতী চিকিৎসার সুবিধা
• তমলুক পুরসভা অ্যাম্বুল্যান্স পেয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে
• একদিনও ব্যবহার হয়নি
এমন আধুনিক সুবিধাযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহারের জন্য প্রায় একবছর আগে তমলুক পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার পরেও কেন অব্যবহৃত হয়ে পড়ে সেই ব্যাপারে পুরসভার ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতর থেকে ওই অ্যাম্বুল্যান্স আমাদের হাতে তুলে দেওয়ার পর সেটি ব্যবহারের জন্য জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম যাতে রোগীর প্রয়োজনের সময় আমাদের জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন রোগীর জন্যও ওই অ্যাম্বুল্যান্স চাওয়া হয়নি। তাই আমাদের নিজস্ব গ্যারাজে রেখে সেটি দেওয়া হয়েছে।’’
যদিও তমলুক জেলা হাসপাতালের সুপার গোপাল দাসের দাবি, ‘‘ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রোগীদের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য পুরসভা আমাদের কিছু জানায়নি। তাই এবিষয়ে বিশদে কিছু জানি না।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, তমলুক জেলা হাসপাতালের নিজস্ব অ্যাম্বুল্যান্স নেই। তবে সাংসদের এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে কেনা একটি অ্যাম্বুল্যান্স জেলা হাসপাতাল চত্বরে থাকত। কিন্তু বর্তমানে সেটি বিকল হয়ে গিয়েছে। জেলা হাসপাতালে আসা রোগীদের কলকাতায় বা অন্য কোনও হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন হলে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের উপরে ভরসা করতে হয়।
ভুক্তভোগী রোগীদের পরিবারের অভিযোগ, পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে ভুগতে হচ্ছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy