গত মাসেই দিঘায় এসে মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় সতর্ক করে গিয়েছিলেন হোটল মালিকদের। স্পষ্ট বলেছিলেন, পর্যটন মরসুমে ঘরভাড়া যেমন খুশি বাড়িয়ে দেওয়া চলবে না। সে কথায় তেমন প্রভাব পড়েনি দিঘা-তাজপুরে। পর্যটকদের অভিযোগ চারদিনের ছুটিতে ভিড় বাড়তে দেখেই ঘরভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে হোটলগুলি। তবে সরাসরি নয়। দালালদের হাত ঘুরে বেশি দামে ঘর ভাড়া হচ্ছে।
স্কুল-কলেজে টানা ছুটি তিনদিন—রবি, সোম, মঙ্গল। সরকারি কোনও কোনও দফতরে আবার শনিবারও ছুটি। ফলে এ দিন বিকেল থেকেই বাঙালি দিঘামুখী। কেউ বা তাজপুরে। কিন্তু থাকবেন কোথায়। প্রায় সব হোটেলেই ঝুলছে বোর্ড— ‘নো রুম’। নদিয়া থেকে সপরিবারে এসেছেন নিতাই দে। ওল্ড দিঘায় দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, “সাত-আটটি হোটেলে খোঁজ করেছি। ঘর নেই। অথচ নেহেরু মার্কেটের সামনে দালালরা ধরছে। ঘরের আশ্বাস দিয়ে মোটা টাকা চাইছে।’’ পর্যটকদের প্রশ্ন ঘর যদি সব ভাড়া হয়ে গিয়ে থাকে তবে দালালদের সঙ্গে গেলে ঘর মিলছে কী ভাবে?
পর্যটকদের দাবি, সরাসরি ঘর ভাড়া না-বাড়িয়ে হোটেল মালিকরা দালালদের হাত ধরে এই পদ্ধতি জারি রেখেছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা দেবব্রত দাস। তিনি বলেন, “কেউ তো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।’’
সোমবার জন্মাষ্টমী আর মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবস। চার-পাঁচ দিন দিঘায় কয়েক লক্ষ পর্যটক থাকবেন বলে মনে করছে প্রশাসন। স্বাধীনতা দিবসের জন্য এমনিতেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “ওডিশা সীমানা এলাকার নাকা শুরু হয়েছে। সৈকতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy