Advertisement
০৭ জানুয়ারি ২০২৫
Education

পরীক্ষার আগে পাঠ্যক্রম শেষ কী ভাবে, উত্তর অজানা 

মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বপন মিশ্র বলেন, ‘‘যতগুলি পেপারে পরীক্ষা হবে ততগুলি প্রজেক্ট জমা দিতে হবে। মূলত হোম অ্যাসাইনমেন্ট-এর উপরে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’’

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংযবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৫:১৭
Share: Save:

লকডাউন উঠলেই এক মাসের মধ্যে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে কলেজগুলিতে। কিন্তু স্নাতক স্তরে দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সিমেস্টারের পাঠক্রম কী ভাবে তার আগে শেষ করা হবে তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট সমাধানসূত্র দিতে পারলেন না বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ২১টি কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিয়ামক দেবাশীষ শর্মা, ইনস্পেক্টর অফ কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিজিৎ রায়চৌধুরী প্রমুখ। লকডাউন উঠে গেলে কলেজগুলিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে কলেজে পড়ুয়াদের উপস্থিতির জন্য যে ৫ নম্বর থাকে, তা সমস্ত পড়ুয়াকে দেওয়া হবে বলে জেলার একাধিক কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া কলেজে ইন্টারনাল পরীক্ষার জন্য ১০ নম্বর ধার্য থাকে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের বাড়িতে বসে করার জন্য একটি টাস্ক দেওয়া হবে। ওই টাস্ক তৈরি করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অথবা মোবাইলে কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভাগীয় অধ্যাপকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বিভাগীয় অধ্যাপকদের মারফত ছাত্রদের প্রাপ্ত নম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যাবে।

এদিন ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানান, স্নাতকস্তরে বিষয় ভিত্তিক প্রতিটি পেপারে (১০০ নম্বরের) প্রজেক্ট তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের ওয়েবসাইটে পাঁচটি প্রজেক্ট আপলোড করবে। সেই প্রজেক্ট থেকে ন্যূনতম একটি প্রজেক্ট বাড়িতে বসেই পড়ুয়াদের করতে হবে। অনলাইন পদ্ধতিতে যাঁরা ওই প্রজেক্ট জমা দিতে পারবেন না তাঁদের ক্ষেত্রে কলেজের ড্রপবক্স অথবা বিভাগীয় অধ্যাপকের কাছে গিয়ে জমা দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছর কলেজগুলিতে পরীক্ষার রীতিনীতি ধরা হবে কিনা সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি।

মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ স্বপন মিশ্র বলেন, ‘‘যতগুলি পেপারে পরীক্ষা হবে ততগুলি প্রজেক্ট জমা দিতে হবে। মূলত হোম অ্যাসাইনমেন্ট-এর উপরে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’’ পাশাপাশি কলেজে যে সব পড়ুয়া পরীক্ষা দেবেন তাঁরা অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করবেন। এবং সেই বাবদ টাকা অনলাইনে জমা নিতে কলেজগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দিয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে এদিন ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলির অধ্যক্ষ সংগঠনের সম্পাদক অমিত কুমার দে বলেন, ‘‘এ দিন ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট এবং উপস্থিতি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিডিয়ো কনফারেন্স আলোচনা করেছেন। তবে লকডাউন উঠলে এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা হলে, যাঁদের পাঠক্রম শেষ করা যাবে না তাঁরা কী করবেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’’

প্রসঙ্গত, স্নাতক স্তরে পাস বিভাগে অনলাইন পাঠক্রম একেবারেই শুরু হয়নি সিংহভাগ কলেজে। এর ফলে ওইসব ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা কীভাবে পরীক্ষায় সম্মুখীন হবে তা নিয়ে সংশয় থেকে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী নিয়ামক দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা এবং পড়াশোনার যাতে ক্ষতি না হয় সেই দিক বিবেচনা করে অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে পাঠ্যক্রম কী ভাবে শেষ হবে এবং কলেজগুলির আঞ্চলিক গুরুত্ব অনুযায়ী পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে তার সিদ্ধান্ত দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Education Examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy