মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই বধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন এসে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন। নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীর মর্যাদা ফিরে পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে বিয়ের রেজিস্ট্রির কাগজ ও প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসলেন এক বধূ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার চকবাহাদুর গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই বধূ এবং তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন এসে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত রগরা বসন্তপুর এলাকা থেকে চকবাহাদুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে এসে হাজির হন ওই বধূ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁকে শ্বশুরবাড়ির তরফে জানানো হয় যে, বাড়িতে ছেলে নেই। তিনি এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব। তাঁদের বাড়িতেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এর পর বাড়ির সামনেই প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেন ওই বধূ।
ওই বধূ জানান, বছর দেড়েক আগে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা চেয়ে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি রোগা ছিলেন বলেও মাঝেমধ্যেই তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হত। তাঁকে বাপের বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকে তাঁকে আর শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
ওই বধূর বাবা বলেন, ‘‘প্রায় দেড় বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মাঝেমধ্যেই টাকা চেয়ে পাঠাত, সামর্থ্য অনুযায়ী দিতাম। তবে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ায় তা দিতে পারিনি। এর পর মেয়ের উপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। তাকে বাড়ি নিয়ে আসার পর থেকে আর বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত নেতৃত্বকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সুরাহা না হওয়ায় মেয়ে বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। মেয়ে চাই তার যোগ্য স্ত্রীর মর্যাদা পেতে।’’
যদিও এই বিষয়ে ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy