শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
প্রথম বার নন্দীগ্রাম দিবস পালন হবে শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়া। ২০০৮ সাল থেকে এই দিনে নন্দীগ্রামের ভুতার মোড়ের সভায় শুভেন্দু কার্যত কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে থেকেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্য। সেদিনের তৃণমূল নেতা আজ বিজেপিতে। তাই রবিবার তাঁকে নন্দীগ্রাম দিবসের মঞ্চে দেখা যাবে না। সারা দিন ২ মেদিনীপুরে তিনি বিজেপির নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন।
২০০৭ সালের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃক জমি অধিগ্রহণের নোটিশ ঝোলানোকে কেন্দ্র করে প্রথম সঙ্ঘাতের সূত্রপাত হয়। এই নোটিশের প্রতিবাদে ৩ জানুয়ারি বিকেলে স্থানীয় মানুষদের একটি মিছিল পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুর চালায়। এর পরেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই দিন থেকেই শুরু হয়েছিল নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন। রাস্তা কেটে পুলিশকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে।
এই দিনটির স্মরণে প্রতি বছর ভুতার মোড়ে বিকেল ৩টেয় একটি বড় সভার আয়োজন করা হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে। এর আগে একাধিক বার নন্দীগ্রাম দিবসের সভায় যোগ দিয়েছেন মেধা পটেকর, মহাশ্বেতা দেবীর মতো মানুষ। ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর এই সভায় আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা হিসেবে হাজির থাকতেন শুভেন্দুও। তবে এবার ছবিটা বদলে গিয়েছে। এই বছর প্রথম বার ভুতার মোড়ের তৃণমূলের সভায় থাকছেন না শুভেন্দু।
নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের নেতা সেখ সুপিয়ান জানিয়েছেন, ভুতার মোড়ের সভায় থাকবেন দোলা সেন ও পূর্ণেন্দু বসু। সভায় নন্দীগ্রামের লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন সুপিয়ান। তাঁর মতে, নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে তৎকালীন সিপিএম পরিচালিত কালীচরণপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এই ভুতার মোড়ের বাসিন্দারাই। পুলিশের গুলির সামনে এই মানুষরাই বুক চিতিয়ে প্রথম লড়াইয়ের সাহস দেখিয়েছিলেন। এই দিনটি নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে স্মরণীয় দিন বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রথম বার শুভেন্দুবিহীন নন্দীগ্রাম দিবসের সভা নিয়ে সুপিয়ান কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy