রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের একটি বুথ কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে সবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্দলপাল গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ওই কার্যালয়ে চক্রান্ত করে আগুন লাগিয়ে দেয় সিপিএমের লোকজন। সোমবার এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল। সবং থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এ দিকে লগু হাঁসদা নামে স্থানীয় এক বৃদ্ধাও থানায় অভিযোগ দায়ে করে জানিয়েছেন, খাস জমিতে তাঁর বাড়ির একাংশ দখল করে তৃণমূল ওই কার্যালয় বানিয়েছিল। সেই বাড়িতেই কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাম আমলেই খাস ওই জমিতে বাড়ি বানিয়েছিলেন লগু। বছর দুয়েক আগে ওই বাড়ির একটি ঘরে তৃণমূল কার্যালয় খোলা হয়। পাশের অন্য একটি ঘরে থাকেন ওই বৃদ্ধা। রবিবার রাতে তৃণমূলের ওই বুথ কমিটির কার্যালয়ে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগে বৃদ্ধার ঘরেও। এরপরই সিপিএম ওই কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। সবংয়ের ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মাইতি বলেন, ‘‘ওই কার্যালয় আমাদের। লগু হাঁসদা নামে ওই বৃদ্ধা পাশেই অন্য একটি খাস জমিতে থাকেন। যে ভাবে কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে তাতে ওই বৃদ্ধার বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। আমাদের ধারণা, সিপিএম এই আগুন লাগিয়েছে। ঘটনার পরে আমাদের ছেলেরা সিপিএমের কয়েকজনকে পালিয়ে যেতেও দেখেছে।’’ সবংয়ের নেতা তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অমলেশ বসুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল জোর করে লগু হাঁসদা নামে এক বৃদ্ধার একটি ঘর দখল করেছিল। এখন পাশের একটি ঘরে বৃদ্ধা তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকেন। কিন্তু সেই ঘরটিও দখল করতে তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়ে আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে। ওই এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসে আমাদের কি আগুন লাগানোর সাহস আছে?’’
থানায় দায়ের করা অভিযোগে বৃদ্ধা লগু জানিয়েছেন, কুন্দলপালের খাস ওই জায়গার পাট্টা রয়েছে তাঁর কাছে। বছর কয়েক আগে তিনি স্থানীয় এক বাসিন্দাকে বাড়ির একাংশ ভাড়া দিয়েছিলেন। এরপর ভাড়াটে চলে যেতেই স্থানীয় তৃণমূলের লোকেরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পতাকা লাগিয়ে দেয়। এখন সেই অংশটিতেই তৃণমূলের কার্যালয়। আর জমির অন্য অংশে আর একটি ঘরে তিনি থাকেন। কেউ চক্রান্ত করে তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলেই
অভিযোগ বৃদ্ধার।
কী ভাবে আগুন লেগেছে তা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, রবিবার রাতে গ্রামের একটি বাড়িতে কালীপুজো হচ্ছিল। আতসবাজিও ফাটানো চলছিল। কোনওভাবে আতসবাজি থেকেও আগুন ছড়াতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। আতসবাজি থেকে আগুনের অনুমান উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy