তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি-সহ তৃণমূলের দলীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের হল ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সহ-সভাপতি সৌমেন আচার্যের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে জনবহুল এলাকায় দাহ্য বস্তুতে আগুন লাগানোর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেন মহিলারা। কলকাতা থেকে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে ওই কর্মসূচি। রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন মহিলারা। গত বুধবার ওই ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচ মাথার মোড়ে জড়ো হন অনেক মহিলা। রাত ১১টা বাজতেই কয়েক হাজার মহিলা এবং পুরুষের স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত লক্ষ্য করা যায় সেখানে। আরজি করের ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্লোগান উঠতে থাকে। অভিযোগ, সেখানেই কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। সেগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমেও। তৃণমূল নেতাদের কয়েক জন সমাজমাধ্যমেই এই কাজের সমালোচনা করে মন্তব্য করেন। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন সৌমেন।
এফআইআর দায়ের প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সৌমেন বলেন, ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমন ঘটনা কোনও মতেই বরদাস্ত করা যায় না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক— তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই দাবিই তোলা হচ্ছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। কিন্তু, তার মধ্যেই কেউ বা কারা ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক রং জড়িয়ে খারাপ আচরণ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও তৃণমূলের ব্যানার,পতাকা জনসমক্ষে পুড়িয়েছেন। যা আইন বিরোধী কাজ। দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি পুলিশের দারস্ত হয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy