ধান থেকে শুরু করে পানের বরোজ, সবজি থেকে মাছ চাষ সবেতেই তিনি এক নম্বর। তাই সুতাহাটা ব্লকের সেরা কৃষকের সম্মান পেলেন শিবানী দাস। শনিবার সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাগৃহে কৃষক দিবসের অনুষ্ঠানে শিবানীদেবীকে এ বছরের ‘কৃষকরত্ন’ সম্মান দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর করা একটি মানপত্র ও ১০ হাজার টাকার চেক। ব্লক কৃষি দফতরের সহ-কৃষি অধিকর্তা সুজিতকুমার মান্না বলেন, “ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানরা ১২ জন কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছিল। কৃষি দফতর সব দিক খতিয়ে দেখে শিবানীদেবীকে ব্লকের সেরা কৃষক হিসাবে চিহ্নিত করে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতাহাটার কুকড়াহাটির গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিবল্লভপুরের বাসিন্দা শিবানীদেবীর ১০০ ডেসিমেল পানের বরজ রয়েছে। তিনি স্বামীর সঙ্গেই চাষের কাজ করেন। শুধু চাষই নয়, ফসল নিয়ে হাটে বিক্রিও করতে যান দুজনেই। শনিবার ‘কৃষক রত্ন’ সম্মান পেয়ে স্বভাবতই খুশি শিবানীদেবী। বছর বত্রিশের শিবানীদেবীর কথায়, “মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। বাপের বাড়ির সঙ্গতি ছিল না। তাই তাই অন্যের জমিতে কাজ করতে যেতাম। বিয়ের পরেও স্বামীর জমিতে কাজ করছি।”
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি ব্লকেই পালিত হয়েছে কৃষক দিবস। জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা (মৃত্তিকা সংশোধন) অরুনাভ মাইতি জানান, প্রতিটি ব্লক থেকেই একজনকে সেরা কৃষক হিসাবে ‘কৃষকরত্ন সম্মান’ দেওয়া হয়েছে। মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি চত্বরে কৃষক দিবসের অনুষ্ঠানে সেরা কৃষক হিসাবে সম্মানিত করা হয়েছে কেশবপুর জালপাইয়ের বাসিন্দা সত্যরঞ্জন জানাকে। হাজির ছিলেন মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী, ব্লক সহ-কৃষি অধিকর্তা মৃণালকান্তি বেরা। অন্যদিকে হলদিয়ায় চকলালপুরের কৃষক মদনমোহন দাসকে ‘কৃষকরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। কৃষক দিবসের অনুষ্ঠানে কৃষি ভিত্তিক আলোচনাসভার পাশাপাশি নানা ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কাঁথির বিভিন্ন ব্লকেও কৃষক দিবস পালন করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy