Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর দলবদলে তৃণমূলে ফিরল ‘ঐক্য’ 

কয়েকমাস আগেও সুব্রত বক্সী কলকাতায় নিজের অফিসে দুই পক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তবু বিবাদ মিটছিল না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা রোড শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:০০
Share: Save:

দীর্ঘ জল্পনা শেষে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই সংগঠনে ভাঙন চিন্তা বাড়িয়েছে তৃণমূলে। তবে চন্দ্রকোনা রোড এলাকার ছবি অবশ্য আপাতত স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে।

শনিবার মেদিনীপুরের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই বিজেপিতে গিয়েছেন চন্দ্রকোনা রোড (গড়বেতা ৩) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ। তারপরেই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে সেখানকার যুযুধান তৃণমূল নেতাদের। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরের দিনই মিছিলে একসঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ ও তাঁদের অনুগামীদের। এই দু’জনের কাজিয়া নিয়েই বিভিন্ন সময়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে।

স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, চন্দ্রকোনা রোড পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্কলহের জের পোহাতে হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকেও। সদ্য দলত্যাগী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর অনুগামী ছিলেন। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় তৃণমূল। একদিকে ছিলেন শ্রীকান্ত-আকাশদীপের শিবির, আরেক দিকে আগের ব্লক সভাপতি নিমাইরতন বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্তমান ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষ ও তাঁদের অনুগামীরা। ব্লক সভাপতিদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ। বিবাদ মেটাতে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বেশ কয়েকবার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়।

কয়েকমাস আগেও বক্সী কলকাতায় নিজের অফিসে দুই পক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তবু বিবাদ মিটছিল না। যুযুধান দুই পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক কর্মসূচিও নিচ্ছিল। আপাতত সেই দূরত্ব ঘুচেছে। উত্তরা বলছেন, ‘‘দলের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই, বিজেপিকে তাড়াতে তৃণমূল এককাট্টা।’’ বিধায়ক শ্রীকান্তর বক্তব্য, ‘‘বড় পরিবারে ছোটখাটো সমস্যা থাকে। সেসব এখন অতীত।’’

তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যা, শুভেন্দুর সাথে চন্দ্রকোনা রোডের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ বিজেপিতে যাওয়ার ফলেই স্থানীয় তৃণমূলের বিবদমান দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা কাছাকাছি এসেছেন। আকাশদীপের একদা অনুগামীরাও এখন তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। জেলা তৃণমূলের এক নেতার দাবি, ‘‘শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ায় দলের কর্মীরা এতটাই ক্ষুব্ধ যে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রাধান্য পাচ্ছে না। যেমন চন্দ্রকোনা রোডে সবাই এক হয়ে গিয়েছেন।’’

এই ছবি ভোটে তৃণমূলকে কতটা সুবিধা দেবে এখন সেটাই দেখার। আকাশদীপ অবশ্য বলছেন, ‘‘তৃণমূলে গণতন্ত্র বলে কিছু ছিল না বলেই এখন দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘দল ছাড়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কাজে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy