বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ধর্মঘটে নামতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা। কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজ্য। ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ মনে করালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আন্দোলন করা শিখিয়েছেন। তাঁর ‘আন্দোলন লগ্নে জন্ম’।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ খড়্গপুর শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। পরে বোগদায় গিয়ে চা-চক্রে যোগ দেন। সেখানেই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বলেই দিয়েছেন দাবি মানবেন না। এমনকি মাথা কেটে নিতে বলেছেন। এতে সংঘর্ষ বাড়বেই। মানুষ অধিকারের জন্য লড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো লড়াই শিখিয়েছেন। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। তাঁর আন্দোলন লগ্নে জন্ম। বাকিদেরও তো তেমন হতে পারে। তাঁকে সেটা মোকাবিলা করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি, “সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কর্মচারীরা নির্দিষ্ট মহার্ঘভাতা পাচ্ছেন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত। তাঁদের পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই জন্য লড়াই বাড়ছে। জনগণের কষ্টও বাড়ছে।”
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের সার্বিক অবস্থা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ যাচ্ছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এখন প্রশাসনও ভেঙে পড়বে। সাধারণ মানুষের কী হবে!”
দিলীপের মন্তব্যের পাল্টা সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপু জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষদের দলের এই রাজ্যে কোনও সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন নেই। ওঁরা ধংসাত্বক আন্দোলনে বিশ্বাসী। আর আমাদের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শিখিয়েছেন গঠনমূলক আন্দোলন। সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট করলে মানুষ পরিষেবা না পেয়ে বিপদে পড়বে। তাতে দিলীপ ঘোষদের উদ্দেশ্য সফল হবে। তাই এই সমর্থন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy