পিঁড়াকাটায় কর্মী সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র barunabp.mid10@gmail.com
মেঠো রাজনীতিতেই বেশি সাবলীল তিনি। সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করেন না এমনটা নয়। তবে তা সীমাবদ্ধ থাকে দলীয় কর্মসূচির ছবি বা ভিডিয়ো পোস্টের মধ্যেই। তবে এ বার ছক ভাঙলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ এসেছিলেন পিরাকাটায়। দলীয় কর্মী সম্মেলনে। সেখানে কর্মসূচি শেষের পর ফেসবুকে তাঁর অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন দিলীপ। সেই ভিডিয়োয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) দেখা যাচ্ছে পিছনে একাধিক বিকল সাইকেল। আর সামনে দাঁড়িয়ে দিলীপ বলছেন, ‘পিরাকাটায় পঞ্চায়েত সমিতির হলে এসেছি। এখানে একটা সাইডে সবুজসাথীর সাইকেল স্ট্যাগ হয়ে পড়ে রয়েছে। সাইকেলগুলি দেওয়া হয়নি। কারও ব্রেক চুরি হয়ে গিয়েছে। কারও অন্য যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে’। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এই যে মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। মানুষকেও বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এই জন্যই সরকারের কাছে টাকার হিসেব থাকে না’।
সকালে হাঁটা। তারই ফাঁকে বসে চায়ে পে চর্চা। কোনও কর্মী সম্মেলনে গেলেও সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা। দিলীপের রাজনীতির ধরন কিছুটা পুরাতনী। কিন্তু তিনি যে দল করেন তারা সাবেকি পদ্ধতির তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি গুরুত্ব দেয় সমাজমাধ্যমকে। নেতৃত্বের দাবি, এটা সময়ের দাবি। দিলীপও সমাজমাধ্যম ব্যবহার করেন। কিন্তু সে ব্যবহার খুবই সংক্ষিপ্ত। এ দিন যে ভাবে ভিডিয়োর মাধ্যমে কোনও সমস্যা তুলে ধরেছেন দিলীপ তা ইতিপূর্বে তাঁকে করতে দেখা গিয়েছে বলে স্মরণ করতে পারছেন না তাঁর ঘনিষ্ঠেরাও। ভিডিয়োতেই স্পষ্ট, এ কাজে এখনও তেমন সাবলীল নন দিলীপ। অথচ বিজেপির আইটি সেল বিরোধীদের বিঁধতে সদা সক্রিয়। তুলনায় দিলীপ যেন শিক্ষানবিশ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার বেশ দড়। তবে ফেসবুকের চেয়েও তাঁর আস্থা বেশি টুইটারে। এ বারও দিলীপও আশ্রয় নিলেন সমাজমাধ্যমের।
ভিডিয়োয় দিলীপের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাল্টা দাবি তৃণমূল পরিচালিত শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির। সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সন্দীপ সিংহ বলেন, ‘‘হাজার হাজার সাইকেল বিলি হয়েছে। কিছু সাইকেলে ত্রুটি ছিল। তাই বিলি হয়নি। যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে, সেই সাইকেল পড়ুয়াদের দেওয়া হয় না।’’
শুধু মেদিনীপুরে নয়। এ দিন একাধিক কর্মিসভা সেরেছেন দিলীপ। নারায়ণগড় বিধানসভা এলাকার দলের বাছাই কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের কর্মীরা কীভাবে কাজ করবেন তার নির্দেশ দেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন নারায়ণগড় রেল স্টেশনের ধারে হয়েছে সম্মেলন। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন। সকালে খড়্গপুর শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বোগদায় চা-চর্চায় যোগ দিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজনৈতিক নানা আলোচনায় ছিল রাজ্যের কর্মসংস্থান, নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গও।
চেনা দিলীপ সকালে চা খান। অচেনা দিলীপ দুপুরে ফেসবুকে সবুজ সাথীর সাইকেল নিয়ে ফেসবুকে সরব হন। জড়তা যায়নি ঠিকই। কিন্তু এ তো সবে শুরু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy