আপাতত সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। নিজস্ব চিত্র
হাওয়া অফিস বলছে, দুর্যোগের শঙ্কা কটেছে। সকালে মেঘ সরিয়ে উঁকি দিয়েছে রোদ। ওই চিলতে রোদ দেখে দিঘায় পর্যটকদের মুখে ফুটেছে খুশির হাসি। ছুটে গিয়েছেন সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু বাধ সেধেছে প্রশাসন। আপাতত সৈকতে নামতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। ফলে, কিছুটা হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বিকেল থেকেই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। তবে, অমাবস্যার কটালের রেশ ধরে এখনও কিছুটা উত্তাল রয়েছে স্মুদ্র। যার জেরে সোমবারও পর্যটকদের সৈকতে নামতে দিচ্ছে না প্রশাসন। সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতে টহলদারি চালাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা।
দমদম থেকে সপরিবারে দিঘায় ছুটি কাটাতে আসা এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী শর্মিলা সাহা জানিয়েছেন, ‘‘শুক্রবার সন্ধ্যায় দিঘায় চলে এসেছিলাম। কিন্তু, তার পর দু’দিন সমুদ্র পাড়ে ঘেঁষতে দেয়নি প্রশাসন। তবে, আজ বাড়ি ফেরার আগেই সমুদ্রের কিছুটা আনন্দ উপভোগ করে যেতে চাই। তাই সকালেই সমুদ্র পাড়ে চলে এসেছি। তবে আজও স্নান করতে দিচ্ছে না পুলিশ। তাই কিছুটা দুঃখ নিয়েই এ বার বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’’
রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘দিঘার সমুদ্র কিছুটা উত্তাল হলেও পরিস্থিতি সে ভাবে খারাপ হয়নি। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য আজও সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে, আবহাওয়ার উন্নতি হলেই সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।’’
অন্য দিকে সোমবার সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত সুন্দরবন-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রবিবার সুন্দরবনের দু-এক জায়গায় বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গেলেও সোমবার নতুন করে কোনও বাঁধ ভাঙেনি।
দুর্যোগের আশঙ্কায় রবিবারের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছিল প্রশাসন। ত্রাণ শিবির ও স্কুলবাড়িতেই রয়ে গিয়েছেন তারা। সেখানেই শুকনো খাবার ও পানীয় জল মজুত করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৮২টি ত্রাণ শিবির চালু করা হয়েছে জেলা জুড়ে। এ ছাড়াও ১১৫টি স্কুল এবং ২০টি অস্থায়ী কেন্দ্র মানুষের আশ্রয়ের জন্য ছেড়ে রাখা হয়েছে। সুন্দরবন জুড়ে নামানো হয়েছে বিশেষ চিকিৎসক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy