বাজারে বিক্রি হচ্ছে এমনই রাখি। তমলুকের বলাইপন্ডায়। নিজস্ব চিত্র
রাজনৈতিক ময়দানে অহী-নকুল সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ছায়া পড়েছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রাখি উৎসবেও!
আগামী সপ্তাহে রাখি। গোটা দেশেই আট থেকে আশি, সকলেই মেতে ওঠেন ওই উৎসবে। এখন থেকেই চলছে রাখির কেনাকাটা। পিছিয়ে নেই পূর্ব মেদিনীপুরেও। শহরের বাজারে বাজারে রাখির দোকান ছেয়ে গিয়েছ। সেখানেই এবার ‘লড়াই’ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ময়না এলাকার রাখি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী রকমারি রাখি প্রস্তুত করেন কারিগরেরা। তার জন্য প্রতি বছরেই রাখি তৈরিতে কিছু অভিনবত্ব দেখা যায়। কখনও বাচ্চাদের জন্য জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মটু পাতলু, কখনও বা বিভিন্ন ফুলের ও পুতুলের আকৃতির রাখি বাজার ছেয়ে যায়। এ বছর বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে ‘মমতা ও মোদী রাখি’।
বলাইপন্ডা বাজারে বিভিন্ন রাখির পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকান। রাখি ব্যবসায়ী নিমাইচাঁদ মাইতি বলেন, ‘‘৩০ জন কারিগর মিলে এ বছর প্রায় ২০ লক্ষ টাকার রাখি প্রস্তুত করেছি। এই রাখি এলাকার পাশাপাশি খড়্গপুর, পিংলা, তমলুক, মেচেদা, পাঁশকুড়ার বিভিন্ন দোকানে সরবারহ করা হয়। ওই সব রাখির মধ্যে মোদীর ছবি দেওয়া রাখি ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বসানো রাখির চল বেড়েছে এবার।’’ দলীয় নেতৃত্বের ছবি দেওয়া রাখি পড়শি জেলাগুলিতেও রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রানিচক গ্রামের অন্য এক রাখি ব্যবসায়ী মিঠুন মাইতি বলেন, ‘‘বাজারে এখন থেকেই রাখি বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। তবে মোদী-মমতার ছবি দেওয়া রাখি এ বছর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।’’
কিন্তু মোদী-মমতার রাখির লড়াইয়ে জিতছে কে? মিঠুনবাবুর কথায়, ‘‘গত বছর মমতা-রাখি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়েছিল। তবে এ বছর বাজার ধরেছে মোদী-রাখি। ওই রাখির চাহিদা মমতা-রাখির থেকে বেশি।’’
সম্প্রতি রাজ্যে এসে সভা করেছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বাংলা জয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে এক রাখি ক্রেতার মজা করে মন্তব্য, ‘‘ভোট ব্যাঙ্ক এখনও থাবা বসাতে না পারলেও রাখির বাজারে অন্তত দিদিকে মাত দিচ্ছেন মোদী!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy