বউদিকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দেওরের বিরুদ্ধে। —নিজস্ব চিত্র।
চার বছর ধরে দেওরের সঙ্গে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক বউদির। কিন্তু পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই বউদিকেই খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার জামনা এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার দুপুরে জামনার বাসিন্দা শ্রীমন্ত মাইতির স্ত্রী মৌসুমির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। শ্রীমন্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি। সেই সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কাজে গিয়েছিলেন তিনি। দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়ি ফিরে শ্রীমন্ত দেখতে পান তাঁর স্ত্রীর দেহ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় পিংলা থানায়। কিন্তু যে ভাবে মৌসুমির দেহ ঝুলছিল তা দেখে গ্রামবাসী এবং পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে মঙ্গলবার গ্রামের লোকজন শ্রীমন্তর ভাই নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সেই সময় নীলাদ্রি স্বীকার করেন, তিনিই বউদিকে খুন করেছেন। গোবিন্দ ভক্ত নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম থেকেই নীলাদ্রিকে সন্দেহ হয়েছিল। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে, ‘আমি বউদিকে খুন করেছি।’ ওরই খুন করার সম্ভাবনা ছিল।’’
মৌসুমির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। নীলাদ্রির বিরুদ্ধে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর দাদা শ্রীমন্ত। বছর আষ্টেক আগে মৌসুমির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, গত চার বছর ধরে বউদির সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মৌসুমিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল নীলাদ্রি। কিন্তু বছর পাঁচেকের সন্তানকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি। সে কারণেই তাঁকে নীলাদ্রি শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
সব শুনে শ্রীমন্ত বলেন, ‘‘আমাদের একটা পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। মৌসুমির সঙ্গে ভাইয়ের যে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল তা আগে আমি জানতাম না। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারি ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমি ভাইয়ের শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy