—প্রতীকী চিত্র।
গেরুয়া শিবিরের শক্তঘাঁটি গোপীবল্লভপুর। পঞ্চায়েত ভোটে আগে গোপীবল্লভপুরে নিচুস্তরে গোপনে করছে আঁতাঁত রাম-রাম, এমনটাই অভিযোগ শাসকদলের। তৃণমূলের অভিযোগ, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আমরদা, সাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সমঝোতা করে প্রার্থী দিয়েছে বিরোধী শিবির। তবে বিজেপি-সিপিএমের আঁতাঁত হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
শাসকের দাবি, গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আমরদা, সাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে সিপিএম-বিজেপি আঁতাঁত স্পষ্ট! কারণ আমরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১, ২, ৫ নম্বর সংসদে সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। ওই তিনটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। আবার ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯ নম্বর আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও, প্রার্থী দেয়নি বামেরা। আবার সাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, ১২, ১৩,১৪, ১৫ আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও, বামেরা প্রার্থী দেয়নি। বিপরীত দিকে ৪, ১০, ১১— এই তিনটি সংসদে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। সেখানে বিজেপি আবার প্রার্থী দেয়নি।
গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকে গত পঞ্চায়েত ভোটে সাতটির মধ্যে পাঁচটি পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছিল বিজেপি। দু’টি জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেই ব্লকে গেরুয়া শিবিরে ধস নেমেছিল বিধানসভা ভোটে। বিধানসভায় গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে সাতটি অঞ্চলে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, বাম-বিজেপির আঁতাঁত আমরদা ও সাসড়া পঞ্চায়েতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না। জেলা সিপিএমের সম্পাদক প্রদীপকুমার সরকার বলেন, ‘‘আমরদা ও সাসড়া এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা সাংগঠনিক ভাবে এখনও পিছিয়ে রয়েছি। যে বুথে সংগঠন মজবুত রয়েছে, সেখানেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।’’
বিজেপির সহ-সভাপতি তুহিন শুভ্র সিং বলেন, ‘‘যেখানে আমরা গতবার জিতেছিলাম, সেখানেই প্রার্থী দিয়েছি।’’ কিন্তু জেলার শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও নিচুস্তরের নেতারা গোপনে বলছেন, ‘‘গোপীবল্লভপুরে এই দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলে চাপে রাখতে দ্বিমুখী লড়াই হচ্ছে।’’ এ ব্যাপারে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলছেন, ‘‘সমঝোতা করে বাম ও বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy