Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

রাস্তাঘাটে কড়া শাসন পুলিশের  

কোথাও নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও দোকান খোলা, তো কোথাও টোটো নিয়ে বের হওয়ায়— লকডাউনের নিয়মভঙ্গ করায় শুক্রবার এ সবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তমলুক পুলিশ। টোটো চালককে কান ধরে ওঠবসও করায় তারা।

পুলিশি পদক্ষেপ।

পুলিশি পদক্ষেপ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৩:২৪
Share: Save:

কোথাও নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও দোকান খোলা, তো কোথাও টোটো নিয়ে বের হওয়ায়— লকডাউনের নিয়মভঙ্গ করায় শুক্রবার এ সবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল তমলুক পুলিশ। টোটো চালককে কান ধরে ওঠবসও করায় তারা।

শুক্রবার থেকে তমলুক শহরে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই জেলা সদরে কড়া ভূমিকায় দেখা গিয়েছে পুলিশ বাহিনীকে। তাদের কঠোর ভূমিকায় উধাও হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে চলা নিয়মভঙ্গের ছবি। তাতে স্বস্তি ফিরেছে শহরের অধিকাংশ বাসিন্দার।

পুরসভা সূত্রের খবর, তমলুকের ৮ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ দিন দু’জন করোনা আকান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এখনও পর্যন্ত পুরসভা এলাকায় ১১ জন বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে শহরের বিভিন্ন বাজার-সহ জনবহুল জায়গায় ফের লকডাউনের পথে হেঁটেছে পুরসভা-প্রশাসন। সেই মতো এ দিন সকাল ১০টার পরে দোকান খোলা রয়েছে কি না, তা দেখতে অভিযানে নামে পুলিশ। তমলুক থানার ওসি জলেশ্বর তিওয়ারির নেতৃত্বে পুলিশেরা শহরের জেলখানা মোড় থেকে বড় বাজার হয়ে হাসপাতাল মোড়ে অভিযান চালায়।

জেলখানা মোড়, বড়বাজার এলাকায় ১০ টার পরেও খোলা থাকা দোকানপাট বন্ধ করে পুলিশ। হাসপাতাল মোড়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা মুখে মাস্কহীন এক টোটোচালককে শাস্তি হিসাবে কান ধরে ১০ বার ওঠবস করায় পুলিশ। পুরসভার-পুলিশের পদক্ষেপের পাশাপাশি শহরের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিও বাজারে আসা বাসিন্দাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। শহরের শঙ্করআড়া বাজারে এ বিষয়ে ব্যানারও দেওয়া হয়েছে। তমলুকের পুরপ্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ রোধে শুক্রবার থেকে শহরে ফের লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। প্রথম দিনেই বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শহরের বাসিন্দাদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আশা করি বাকি দিনগুলিতেও একইভাবে লকডাউনের নিয়মকানুন মেনে চলবেন।’’

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় হলদিয়া পুর এলাকায় নতুন করে ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রায়চক এলাকায় একই পরিবারের আট জন আক্রান্ত রয়েছেন। এক কাউন্সিলারের কন্যাও করোনা সংক্রমিত। উল্লেখ্য, রাধাবল্লভচকের বাসিন্দা ওই কাউন্সিলারে আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে। দুর্গাচক এলাকার এক আক্রান্ত, নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এক স্বাস্থকর্মীও বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ওই স্বাস্থ্যকর্মী এক রোগীর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করেছিলেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বিষয়টি দফতরের নজরে আসতে তারা ওই কর্মীর লালারসের পরীক্ষা করায়। তাতে পজ়িটিভ রিপোর্ট আশে। প্রত্যেকেই চণ্ডীপুর করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অন্য বিষয়গুলি:

police mask toto coronavirus lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE