প্রতীকী ছবি
আশঙ্কাই সত্যি হল। করোনা ধরা পড়ল মুম্বই ফেরত, দাসপুরের সেই যুবকের স্ত্রীরও। আগেই ওই যুবকের বাবার করোনা ধরা পড়েছিল। ওই যুবক এবং তাঁর বাবা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ার পরে রবিবার বিকেলে ওই যুবকের স্ত্রীকেও বেলেঘাটা আইডি-তে পাঠানো হয়েছে। তিনি এতদিন মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনকে বেলেঘাটা আইডি-তে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবতীর করোনা ধরা পড়েছে।’’ মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবকের মা-ও। মায়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনই ওই মহিলাকে করোনা হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে না বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর। কেন? জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলছেন, ‘‘ওই মহিলাকে এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়ার প্রশ্নই নেই। ওই যুবক সরাসরি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে তাঁর মা একজন। উনি এখন হাসপাতালেই পর্যবেক্ষণে থাকবেন।’’ ওই সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ওই মহিলার ফের করোনা পরীক্ষা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তখন তাঁকে ছাড়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। ওই যুবকের স্ত্রীর বয়স বছর তেইশ। মায়ের বয়স চুয়াল্লিশ।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র মনে করিয়ে দিচ্ছে, মুম্বই ফেরত ওই যুবককে একা ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ওই যুবক করনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তদন্তে অবশ্য জানা যায়, নির্দেশ না মেনে যুবকটি স্ত্রীর সঙ্গে একই ঘরে ছিলেন। ২২ মার্চ মুম্বই থেকে ফেরার পরে রাতে ওই যুবক স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসও করেন। বিষয়টি জেনেই উদ্বিগ্ন হন একাংশ স্বাস্থ্য আধিকারিক। তখন থেকেই ওই যুবতীর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা শুরু হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, বাবা, মা, স্ত্রী, দাদা, বৌদি-সহ ওই যুবক সরাসরি ৭ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ইতিমধ্যে ওই যুবক-সহ ৩ জনের করোনা ধরা পড়ল। একই পরিবারের ৩ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগও বেড়েছে নানা মহলে। বাকি ৫ জনকেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘কারও মধ্যে সন্দেহজনক কিছু দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’ ওই সূত্রের দাবি, ওই পরিবারের বাকি ৪ জনের এখনও করোনার কোনও উপসর্গ নেই। তবে উপসর্গ দেখা দিতেই পারে।
করোনা আক্রান্ত ওই যুবক, তাঁর স্ত্রী ও বাবা ঠিক কতজনের পরোক্ষ সংস্পর্শে এসেছেন, তার হদিশ অবশ্য রবিবার পর্যন্ত মেলেনি। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘ওই তিনজন পরোক্ষভাবে কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা জানার সব রকমের চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy