প্রতীকী ছবি।
করোনার টিকা নেওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড়ের ছবি এখনখুবই পরিচিত। টিকা নিতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষার পরেও টিকা না পেয়ে ফিরে আসার অভিযোগও কম নয়। টিকা নিতে গিয়ে এমন হয়রানি বন্ধ করতে টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা তৈরি করে টিকা নেওয়ার দিন, কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে তা আগাম জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে আগাম রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয় জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও টিকা নেওয়ার জন্য হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে লাইনে অপেক্ষা করলেও সবাইকে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না চাহিদা অনুযায়ী টিকার জোগান না থাকায়। এর ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটছে। এমন সমস্যা দূর করতে টিকা প্রাপকদের তালিকা তৈরি করে কোন দিন কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে তা জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা তৈরির জন্য গ্রামীণ এলাকায় আশা কর্মী ও পুরএলাকায় আরবান আশাকর্মী ও ডেঙ্গি সচেতনতার কাজে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই সমীক্ষা করবেন।টিকা নিতে ইচ্ছুকদের আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর ও জন্ম তারিখ সংগ্রহ করে তা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি নির্দিষ্ট পোর্টালে যুক্ত করা হবে। এরপরে ওই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা ধরে আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে কোন দিন কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়া যাবে। এর ফলে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ হবে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। করোনা টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা তৈরি করতে আগামী সপ্তাহ থেকেই বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। সমীক্ষার কাজে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘‘টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা ধরে টিকা নেওয়ার দিনক্ষণ আগাম জানানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করে টিকা নিতে ইচ্ছুকদের তালিকা তৈরি করবেন। টিকার সরবরাহ অনুযায়ী ওই তালিকা থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী টিকা নেওয়ার দিনক্ষণ বাসিন্দাদের জানানো হবে।এর ফলে টিকা নেওয়ার জন্য বাসিন্দাদের ভিড় এড়ানো যাবে।’’
স্বাস্থ্যদফতর সূত্রের খবর, জেলায় এখনও পর্যন্ত ৮লক্ষ ৪৯হাজার ৫৮৩ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। যা জেলার জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ২লক্ষ ৭৭হাজার ৪৯২জন। যা জনসংখ্যার ৭ শতাংশ। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এখন জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে জেলায় প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে । চাহিদা অনুযায়ী টিকার সরবরাহ কম থাকায় ‘সুপারস্প্রেডার’ হিসেবে চিহ্নিত এবং ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২১ জুন থেকে জেলায় টিকার জোগান বৃদ্ধি পাবে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে।তার ফলে জেলায় টিকাকরণে আগের চেয়ে গতি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy