তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে দুই অভিযুক্ত এখনও অধরা। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে বার বার জায়গা বদলাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও নেপাল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পলাতকদের লোকেশন ‘ট্র্যাক’ করা হচ্ছে লাগাতার। এক জনের মোবাইল লোকেশন গত কয়েক দিনে বার কয়েক বদলেছে। তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে। দুলাল খুনের তদন্তে তাই সিআইডির সাইবার বিশেষজ্ঞদেরও আনা হয়েছে।
ধৃতদের মোবাইল পরীক্ষা করার জন্য শনিবার মালদহে যান সাইবার বিশেষজ্ঞ মমতা চক্রবর্তী। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অভিযুক্তদের ফোন পরীক্ষা করেন। অভিযুক্তেরা কাদের ফোন করেছেন, সেগুলো দেখা হয়েছে। এ বার ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করছেন তদন্তকারীরা। তা ছাড়াও অভিযুক্তদের সকলের হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে, তৃণমূল নেতা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত আশরফ খানের ফোন থেকে ‘অন্যতম চক্রান্তকারীদের’ কাছে ফোন গিয়েছিল। বেশ কয়েক বার তাঁদের কথা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, পলাতকদের লোকেশন ‘ট্র্যাক’ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য বার বার তাঁরা জায়গা বদলাচ্ছেন। দু’জনকে পাকড়াও করতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গত ২ জানুয়ারি দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ‘মূল চক্রী’ বলে মনে করছে পুলিশ। শুক্রবার নরেন্দ্রনাথ এবং ধৃত স্বপন শর্মাকে আদালতে তোলা হলে তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
দুলাল ওরফে বাবলা খুনে ধৃতদের জেরা করে বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র। খুনে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি নাইন এমএম পিস্তল এবং দু’টি ওয়ান শটার। গত ২ জানুয়ারি আততায়ীরা যে পোশাক পরে দুলালকে খুন করতে এসেছিল, সেগুলোও পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল নেতা খুনে সদ্যবহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’কে আদালতে হাজির করানো হয়।