উপসর্গহীন করোনা রোগীদের থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়ায়। সেখানে থাকার কথা ৫০টি শয্যা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানো হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জেলার নজরে এ বার সংক্রমণের হার (পজ়িটিভিটি রেট)।
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ‘সংক্রমণ-প্রবণ’ এলাকাগুলির মধ্যে কোথায় সংক্রমণের হার কেমন, এ বার তা খতিয়ে দেখা হবে। ইতিমধ্যে জেলাস্তরে সংক্রমণের হার খতিয়ে দেখা হয়েছে। সার্বিকভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাস্তরের হার স্বস্তিদায়ক। গত ১ থেকে ৫ অগস্ট— এই পাঁচদিনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, জেলাস্তরের সংক্রমণের হার ৪.৪৩ শতাংশ। এই হার ৫ শতাংশের উপরে থাকলে তা চিন্তার হত। জেলাশাসক তথা করোনা মোকাবিলায় গঠিত জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান রশ্মি কমল বলেন, ‘‘জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি নয়। এই হার অনেকটাই স্বস্তিদায়ক।’’
প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, এ বার ব্লক এবং শহর এলাকাগুলির তথ্য বিশ্লেষণ করা হবে। কোন এলাকাগুলির ‘পজ়িটিভিটি রেট’ তুলনায় কিছুটা বেশি, কোন এলাকায় কম, তা খতিয়ে দেখে চিহ্নিত করা হবে করোনা-সমস্যাহীন অঞ্চল।
প্রতিদিন যতজন রোগীর করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তারমধ্যে প্রতি একশোজনে যত জনের রিপোর্ট পজ়িটিটি আসছে, তাকেই বলা হয় ‘পজ়িটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গত ১ থেকে ৫ অগস্ট— এই পাঁচদিনে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২,৮৪০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ১২৬ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। অর্থাৎ, সংক্রমণের হার ৪.৪৩ শতাংশ। জেলায় এখন আরটি-পিসিআর পদ্ধতির পাশাপাশি কম সময়ে করোনা রোগী চিহ্নিতকরণে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মতে, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আগের থেকে আরও বেড়েছে। তাই সংক্রমিতের সংখ্যাও খানিক বেড়েছে।
জেলায় প্রথম করোনা রোগীর হদিশ মিলেছিল মার্চের শেষে। এখন আক্রান্তের সংখ্য ১৪০০ ছাড়িয়েছে। ব্লকের মধ্যে দাসপুর, ডেবরা, সবং, গড়বেতা, কেশপুর, বেলদা, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা রোড প্রভৃতি এলাকায় আর পুর-এলাকার মধ্যে সংক্রমণ খড়্গপুর, মেদিনীপুর প্রভৃতি এলাকায় সংক্রমণ বেশি। ৬ অগস্ট পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৫,৬২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। জেলায় সংক্রমিত হয়েছেন ১,২২৭ জন। এরমধ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৫৬। বাকি ৮৭১ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ, জেলায় সুস্থতার হার ৭০.৯৮ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। মৃত্যুর হার ২.৪৪ শতাংশ। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘জেলায় করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়।’’
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, নিচুস্তরের তথ্য বিশ্লেষণের পরে যে অঞ্চলের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি হবে, সেগুলি একটি তালিকাভুক্ত আর যে অঞ্চলে ৫ শতাংশের কম হবে, সেগুলি আলাদা তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। ৫ শতাংশের কম হারের অঞ্চলগুলি থেকে আরও বেশি নমুনা সংগ্রহ হতে পারে। ৫ শতাংশের বেশি অঞ্চলগুলিতে মানুষজনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। জেলাস্তরের টাস্কফোর্সের বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হবে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy