গড়বেতার আমলাগোড়ায় পথচারীদের মাস্ক বিলি। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে ছবি তোলা হচ্ছে মাস্কহীন ব্যক্তির। তারপর তাঁকে সটান বাড়ি পাঠিয়ে পুলিশের সতর্কবার্তা— ‘‘প্রথমবার সতর্ক করে ছেড়ে দিলাম। পরের বার বিনা মাস্কে রাস্তায় দেখতে পেলেই কেস দেওয়া হবে। সতর্ক হন, না হলে নিজেই পস্তাবেন।’’ গোয়ালতোড়ে মাস্কহীনদের এ ভাবেই করোনা সচেতনতা বাড়াচ্ছে পুলিশ।
গত তিনদিনে মাস্ক না পরে বাইরে বেরনো প্রায় ১০০ জন পথচারীকে এ ভাবেই বাড়ি পাঠিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এতে ভাল সাড়াও মিলছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। প্রায় এক মাস এলাকায় সংক্রমণের খবর নেই। ফলে নেই কন্টেনমেন্ট জ়োন কিংবা গণ্ডিবদ্ধ এলাকাও। ফলে রাস্তায়, দোকানে, বাজারে অসংখ্য মানুষের ভিড়। দূরত্ব-বিধির বালাই নেই। অনেকে বিনা মাস্কেই যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংক্রমণে রাশ আসতেই সাধারণ মানুষের সচেতনতায় ঘাটতি মেটাতে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস্ক বিধি মানাতে সকাল-সন্ধ্যা পথে নামছেন পুলিশকর্মীরা। সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে গোয়ালতোড় থানার পুলিশকর্মীরা দোকানে, বাজারে, পথচলতি মানুষকে সচেতন করছেন।
জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘নাই বা সংক্রমণ থাকল, মাস্ক পড়তেই হবে। গোয়ালতোড়ের মানুষকে মাস্ক পড়ায় অভ্যস্ত করে তুলতে সব রকম চেষ্টা করা চলছে।’’ অনুশাসনে সাড়াও মিলছে। দোকানের জটলায়, আনাজ বাজারে, রেশনের লাইনে মাস্ক মুখে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। গোয়ালতোড়ের কোলে মোড়ে টোটো যাত্রী অরুণ মাহাতো, সুদর্শন মণ্ডল, সোমাশ্রী চক্রবর্তীদের কথায়, ‘‘মাস্ক না পড়লে পুলিশ ফের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাই মাস্ক পরেই বেরিয়েছি।’’ গোয়ালতোড় বাজারের আনাজ কিনতে আসা জিরাপাড়ার সুবল মাহাতো বলেন, ‘‘মাস্ক না পড়লে পুলিশ ধরছে। তাই নতুন মাস্ক কিনে পরে এসেছি।’’
মাস্ক বিধি মানাতে গড়বেতায় পথে নামল আমলাগোড়ার ভুতুড়িয়া হিমঘর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার আমলাগোড়ায় কংসাবতী মোড়ে রাজ্য সড়কের পাশে শিবির করে মানুষকে করোনা বিষয়ে সচেতন করেন হিমঘরের কর্মকর্তারা। পথচলতি মানুষকে মাস্ক পরিয়ে স্যানিটাইজ়ার দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy