প্রতীকী ছবি।
একে লকডাউন, তায় রেড জ়োন হিসাবে ঘোষিত জেলা। ফলে যানবাহন চলার প্রশ্নই ওঠে না। তবু তার মধ্যেও করোনা পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের কথা ভেবে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা পরিবহণ দফতর। গত ৪ মে থেকে ওই পরিষেবা চালুও হয়ে গিয়েছে।
জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি রুটে একটি করে বাস স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে যাবে এবং আর একটি বাস স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটির পরে বাড়ি পৌঁছে দেবে। এ ব্যাপারে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাশিস গিরি বলেন, ‘‘মোট ৬টি বাস চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে কোনও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। মাসের শেষে জেলা প্রশাসনের কাছে বিল পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারাই সংস্থাকে বিল মেটাবে।’’
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা সূত্রে খবর, হলদিয়া এবং দিঘা ডিপো থেকে তিনটি করে বাস নেওয়া হয়েছে। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল সাতটায় একটি সরকারি বাস ছাড়বে। ওই বাস এগরায় ৭ টা ৫০ মিনিটে এবং তমলুক পুরসভার সামনে পৌঁছবে ১০ টা ৩৫ মিনিটে। একই রুটে ফেরার সময় বিকেল ৫টা নাগাদ তমলুক থেকে বাস ছাড়বে। সেটি এগরায় রাত পৌনে আটটা ও কাঁথিতে রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছবে। পাঁশকুড়া থেকে সকাল সাতটায় যে বাসটি ছাড়বে সেটি মেচেদায় সকাল ৮টা১০ মিনিট, তমলুকে সকাল নটা এবং হলদিয়ায় ১০ টা ২৫ মিনিটে পৌঁছবে। হলদিয়া থেকে বিকেল পাঁচটায় একটি বাস ছাড়বে। সেটি তমলুকে সম্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে এবং পাঁশকুড়ায় রাত ৮টা ১০ মিনিটে পৌঁছবে। হলদিয়ার বালুঘাটা থেকেও সকাল সাতটায় একটি বাস ছাড়বে। সেটি নন্দকুমারে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে, কোলাঘাটে সাড়ে ৯টায় এবং পাঁশকুড়া বাজারে সাড়ে ১০টায় পৌঁছবে। পরে বিকেল ৫টা নাগাদ পাঁশকুড়া বাজার থেকে ওই বাস ছেড়ে সাড়ে ৮টা নাগাদ হলদিয়ার বালুঘাটাট পৌঁছবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ যে ভাবে বাড়ছে তাতে এখন বেসরকারি বাস চালু করা একেবারেই অনুচিত। কেন্দ্রীয় পরিবণ মন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গিয়ে রাজ্যের প্রতিনিধিরা তা জানিয়েও দিয়েছেন। তার পরেও ‘রেড জোন’ হিসাবে ঘোষিত পূর্ব মেদিনীপুরে কী ভাবে সরকারি উদ্যোগে বাস চালানো হচ্ছে জানি না।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই কেবল স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সুবিধার্থে জেলাশাসক-সহ রাজ্য সরকারের কাছে সরকারি পরিবহণ সচল রাখার আবেদন জানিয়েছিলাম সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy