চেনা ছন্দে পাঁশকুড়ার বাজারহাট। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
খাতায় কলমে পাঁশকুড়া রেড জোন জেলার মধ্যে। পাঁশকুড়ার আশপাশের বেশ কিছু এলাকা আবার গণ্ডিবদ্ধ (কনটেনমেন্ট) এলাকার আওতায়। কিন্তু সোমবার শহরের ছবি দেখলে সেকথা বলবে কে!
শহরে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পরে দিন কয়েক পাঁশকুড়া শহরে সেভাবে ভিড় চোখে পড়েনি। কিন্তু নতুন করে পাঁশকুড়ায় আর করোনা সংক্রমণের খবর না আসায় ফের আগের ছন্দে শহর। শিকেয় সুরক্ষা বিধি । এরকম চলতে থাকলে আদৌ কি গ্রিন জোনে পৌঁছান যাবে? প্রশ্ন শহরবাসীর একাংশের।
পাঁশকুড়া পুর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁপাডালির এক প্রৌঢ়ার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এলাকাটি সিল করে দেওয়া হয়। গোটা পুরসভা হয়ে যায় কনটেনমেন্ট এলাকা। শহরের পাশাপাশি, লাগোয়া গোবিন্দনগর, ঘোষপুর ও চৈতন্যপুর ২ এলাকার কিছু অংশকে গণ্ডিবন্ধ এলাকা। শহরবাসীর অভিযোগ, দিন দু'য়েক ঘরবন্দি থাকার পর ফের পাঁশকুড়া শহরে আগের মতোই ভিড় দেখা যাচ্ছে। খাদ্য সামগ্রী ছাড়াও খুলে গিয়েছে, মোবাইল, জেরক্স, মনোহারি দোকান। পাঁশকুড়া পুরাতন বাজার, স্টেশন বাজার ইত্যাদি এলাকায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখেই কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। সকলে ব্যবহার করছেন
না মাস্ক।
শহর লাগোয়া গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলিতেও কোনও সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শহরের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর বলেন, ‘‘ফের শহর জুড়ে ঢিলেঢালা ভাব। প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কেনাকাটা করতে। রেশন দোকানগুলিতেও নির্দিষ্ট দূরত্ব মানা হচ্ছে না। প্রশাসন কড়া মনোভাব না নিলে যেকোন সময় পাঁশকুড়ায় ফের করোনা সংক্রমণ ঘটতে পারে।’’ এ ব্যাপারে পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘পুলিশ ও পুরসভার তরফে বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে অযথা ভিড় বা জমায়েত না করার জন্য। মানুষকে বলব আরও সচেতন হতে।
অন্যদিকে একই অবস্থা এগরাতেও। জেলায় প্রথম এগরাতেই করোনা সংক্রমণ ছড়ায়। এগরা পুরসভার ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় হিসাবে চিহ্নিত রয়েছে। এখানে লকডাউন কঠোর হাতে মোকাবিলা করার কথা। কিন্তু বাস্তবে সেই দৃশ্য অনেকটাই ঢিলেঢালা। রেশন দোকানে সামনে মানুষ জমায়েত করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের আবার অধিকাংশ লোকের মুখে নেই কোনও মাস্ক। পুরসভার ১২ নম্বর কসবা ওয়ার্ডে একটি রেশন দোকানে এই ভাবে রেশন তুলছেন গ্রাহকেরা। প্রশাসনকে এই বিষয়ে আরও বেশি করে নজরদারি চালানোর দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। এবিষয়ে এগরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, রেশন দোকান গুলিতে সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের জমায়েতের কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই। জমায়েত এড়াতে রেশন দোকানের সামনে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy