মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। ছবি সংগৃহীত।
জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়াল। কিন্তু সচেতনতা ফিরছে না আমজনতার। তমলুক শহরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ জন। অন্যদিকে, সিজারিয়ান বিভাগে এক সহকারি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বন্ধ করা হয়েছে এগরা মহকুমা হাসপাতালের সিজারিয়ান (ওটি) পরিষেবা। সংক্রমণের আশঙ্কায় হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তার এবং অ্যানাস্থেটিস্ট-সহ মোট ২২ জনকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কোলাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী।
সংক্রমণ বাড়ায় কড়া পদক্ষেপ করেছে হলদিয়ার একাধিক শিল্পসংস্থা। জেলার বাইরে থেকে আধিকারিক, কর্মী বা শ্রমিক কারখানা চত্বরে প্রবেশ করতে গেলে করোনা পরীক্ষা বা ১৪ দিনের নিভৃতবাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদিও এতসবের পরেও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে করোনা সতর্কতায় মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব বার বার সামনে এসেছে।
জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী, ময়না, নন্দকুমার ও কাঁথি শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক দিনে দ্রুত বেড়েছে। পাঁশকুড়া, চণ্ডীপুর, কাঁথি করোনা হাসপাতালে আক্রান্তদের ভর্তি ছাড়াও বিভিন্ন সেফ হোম ও হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলায় করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেলেও গত তিনদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্তদের সুস্থতার হারও ভাল। করোনা হাসপাতাল, সেফ হোমে ও হোম আইসোলশনে চিকিৎসায় আক্রান্তদের বেশিরভাগই সুস্থ হচ্ছেন।’’ তবে এর মধ্যেই মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব নিয়ে সরব অনেকেই। মুখে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়ানো থেকে আড্ডা দেওয়া সবই চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দকুমার বাজার এলাকায় ব্যাপক ভিড় হয়। বাজারে প্রকাশ্যে তাস খেলার আসর বসতেও দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, পুলিশি টহলদারির অভাবে অনেকে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে এগরা মহকুমা হাসপাতালের সিজারিয়ান বিভাগের এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সিজারিয়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জীবাণুমুক্ত করা হয় ওই চত্বর। জরুরি ভিত্তিতে প্রসূতিদের কাঁথি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা নার্স, সহকারি, চিকিৎসক ও অ্যানাসথেটিস্ট-সহ ২২ জনকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে ফের সিজারিয়ান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোলাঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী করোনা আক্তান্ত হয়ে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর জ্বর ছিল। গত সোমবার তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়। বুধবার বিকেলে তাঁর পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে।
অন্যদিকে এদিন মেচগ্রামের বড়মা কোভিড হাসপাতাল থেকে ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। নতুন করে বড়মায় ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন ৬৪ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy