Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in Midnapore

কাঠ এনেও ফিরলেন পরিজন, দেহ মর্গেই

গত বৃহস্পতিবার এগরার মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক করোনা আক্রান্তের এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০০:৫৪
Share: Save:

প্রথমে মৃতদেহ নিতে নারাজ পরিবার। পরে রাজি হলেও দাহ কার্যে যোগ দিতে অনিচ্ছা— যার জেরে মৃত্যুর দু’দিন পরেও হাসপাতালের মর্গেই পড়ে রইল করোনা আক্রান্তের দেহ।

গত বৃহস্পতিবার এগরার মঞ্জুশ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক করোনা আক্রান্তের এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই হাসপাতাল এবং পরিবারের তরফে দেহ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। প্রথমে গ্রামবাসীদের চাপে দেহ নিতে অস্বীকার করেন মৃতের পরিজন। এ দিকে, এগরা পুরসভা এলাকায় করোনা আক্রান্ত দেহ সৎকারের পরিকাঠামো না থাকায় পুরসভা এবং মহকুমা প্রশাসনও দেহ রাখতে রাজি নয়।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিবারের আলোচনায় একটি সমাধান বের হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের অদূরে একটি শ্মশানে দেহটি সৎকারের কথা পরিবারকে বলা হয়। সেই মতো মৃতের পরিবার রাজি হয় এবং রাতে দেহ সৎকারের জন্য জ্বালানি কাঠ এবং অন্য সামগ্রী ভ্যানে করে নিয়ে আসে। মহকুমা প্রশাসনের তরফেও মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া জন্য একটি ভ্যান পাঠানো হয়।

মৃতের পরিবারের দাবি, হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয় যে, পরিবারের লোকেদেরই শেষকৃত্য করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃতর জেঠু বলেন, ‘‘আমাদের প্রথমে জ্বালানি কাঠের জোগাড় করতে বলা হয়। রাতে কাঠ নিয়ে গেলে আমাদেরই সৎকার করতে হবে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তাঁরা পিপিই-সহ অন্য সামগ্রী সরবরাহ করবে বলে জানান। বাধ্য হয়ে আমরা দেহ সৎকার না করে কাঠ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।’’ যদিও এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার রঞ্জন রায় বলছেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে এই ধরনের কোনও কথা পরিবারকে জানানো হয়নি। মৃতের পরিজনেরা জ্বালানি কাঠ নিয়ে এসেছিলেন। কেন ফিরে গেলেন আমরা জানি না।’’

দুপক্ষের টানাপড়েনে শনিবার দুপুর পর্যন্ত হালপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে দেহ। এ ব্যাপারে এগরার মহকুমাশাসক অপ্রতীম ঘোষ বলেন, ‘‘দেহ সৎকার নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তাঁরা যা নির্দেশ দেবেন, তা পালন করা হবে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in Midnapore Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE