Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in Midnapore

সংক্রমিত চিকিৎসক, পজ়িটিভ শিশুকন্যাও

করোনা পরিস্থিতি জটিল হলেও জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা চুপই আছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০১:০৬
Share: Save:

আক্রান্ত বাড়ছে। করোনা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে ঝাড়গ্রাম জেলায়।

শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিনে নতুন করে পাঁচজনের সংক্রমিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। জেলার এক গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও তাঁর পাঁচ মাসের কন্যাসন্তান সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পজ়িটিভ হওয়ার পরে ওই চিকিৎসক ‘হোম আইসোলেশনে’ রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী অবশ্য করোনা নেগেটিভ। জেলার এক সরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানও সংক্রমিত হয়েছেন। ৭ জন নার্সকে ‘সেফ হোমে’ রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনা হাসপাতালে ডিউটির জন্য তাঁদের ‘সেফ হোমে’ রাখা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি জটিল হলেও জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা চুপই আছেন। চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে, আক্রান্ত চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীরা হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। কারণ, চিকিৎসার খুঁটিনাটি তাঁদের জানা। কিন্তু সাধারণ মানুষের বেশিরভাগেরই করোনা সংক্রান্ত ঠিক ধারণা নেই। তাই তাঁদের বাড়িতে রাখায় ঝুঁকি বাড়ছে বলেই চিকিৎসকদের মত। বিশেষত, সংক্রমিত বয়স্কদের। করোনা হাসপাতালে ভর্তি শহরের এক যুবকের বৃদ্ধা মা পজ়িটিভ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে হোম আইসোলেনশনে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুক্রবার শেষ মুহূর্তে সঙ্কটজনক অবস্থায় করোনা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওই বৃদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি।

চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘হোম আইসোলেশনে সচেতনতার অভাবে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। করোনা হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা থাকলে সংক্রমিত বয়স্কদের সেখানেই রাখা উচিত।’’

শুক্রবার সংক্রমিত বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ করেন, ওই বৃদ্ধা ও পরিবারের অন্য দুই সদস্যের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ জানিয়ে তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে পুরসভা এই অভিযোগ মানতে চায়নি। শনিবার পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা বলেন, ‘‘পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বৃদ্ধাকে হোম আইসোলেশনে থাকার কোনও পরামর্শ দেননি।’’ তাহলে কারা দিয়েছিলেন? বংশীধরের জবাব, ‘‘সেটা স্বাস্থ্য দফতর বলতে পারবে।’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা এ দিনও ফোন ধরেননি। হোয়াটস্‌অ্যাপ মেসেজের জবাব দেননি। তবে শনিবার রাতে শহরের বাছুরডোবার এক বৃদ্ধ এবং বিনপুরের এক বৃদ্ধাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জেলা করোনা হাসপাতালে এখন দুই মহিলা সহ-৭ জন ভর্তি। ৭৫ শয্যার হাসপাতালে ৬৮টি শয্যা খালি রয়েছে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in Midnapore Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy