Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in Midnapore

জ্বর-সর্দির ওষুধ কারা কিনছে, নজরদারি

সোমবার ঝাড়গ্রামের ওষুধ, আনাজ, মুদি-সহ জরুরি পরিষেবার দোকান-মালিকদের পুলিশ-প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক ক্রেতার নাম-মোবাইল নম্বর লিখে রাখতে হবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কিংশুক গুপ্ত
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৬
Share: Save:

লকডাউনে যাঁরা পথে নামছেন, তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, সেই তথ্য সংগ্রহ করে রাখবে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন। জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই।

সোমবার ঝাড়গ্রামের ওষুধ, আনাজ, মুদি-সহ জরুরি পরিষেবার দোকান-মালিকদের পুলিশ-প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক ক্রেতার নাম-মোবাইল নম্বর লিখে রাখতে হবে। একই ক্রেতা একদিনে একাধিকবার এলে সেটাও লিখে রাখতে হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এর ফলে একজন ব্যক্তি কতবার বেরোচ্ছেন এবং কী প্রয়োজনে বেরোচ্ছেন, কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনছেন কি-না তা জানা যাবে। একই সঙ্গে ওষুধ দোকান থেকে জ্বর-সর্দির ওষুধ কেউ কিনছেন কি-না দেখা হবে সেটাও। মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক না থাকলে বাইক চালকদের ধরা হচ্ছে। একটি বাইক সারাদিনে কতবার বাইরে বেরোচ্ছে দেখা হচ্ছে সেটাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খদ্দেরের মুখে মাস্ক না-থাকলে তাঁকে কোনও জিনিস বিক্রি করা যাবে না। দোকানের মালিক ও কর্মীরা মাস্ক না-পরলে দোকান ‘সিল’ করা হবে।

দিন কয়েক আগে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ ঝাড়গ্রামে এসে জানিয়েছিলেন, জ্বর-সর্দির উপসর্গ নিয়ে কেউ বাড়িতে আছেন কি-না সেটা বিভিন্ন ভাবে সমীক্ষা করে দেখতে হবে। জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘‘কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবার দোকানগুলিকে প্রতিটি ক্রেতার নাম ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে বলা হয়েছে।’’

সোমবার থেকে রাস্তায় বেরনো লোকজন, জরুরি পরিষেবার দোকানগুলির ক্রেতা-বিক্রেতাদের থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। হঠাৎ করে এই অতি সক্রিয়তার কারণ? প্রশাসনের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্য এবং পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সীমানাঘেরা ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দাদের একাংশ পড়শি রাজ্য ও জেলার উপর নির্ভরশীল। লকডাউনের ফলে ঝাড়গ্রামের ৮টি আন্তঃরাজ্য সীমানা পথে পুলিশের নাকা নজরদারি চলছে। তবুও জঙ্গলপথ দিয়ে কেউ চোরাগোপ্তা আন্তঃজেলা বা আন্তঃরাজ্যে যাতায়াত করলে সেটা আটকানো কার্যত অসম্ভব। কারণ জেলার ১৯৮ কিমি এলাকা জুড়ে থাকা আন্তঃ রাজ্যের সীমানার অনেকটাই ঘন দুর্গম জঙ্গল। এছাড়া লকডাউনের মধ্যেও কিছু মানুষজন অযথা পথে বেরোচ্ছেন। পড়শিদের বাড়িতে যাচ্ছেন কেউ কেউ। সে কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in Midnapore Medicine Cold and Cough
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy