প্রতীকী ছবি।
একই দিনে ঘাটাল মহকুমায় মোট পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এল। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি ঘাটালে। অন্য দু’জনের বাড়ি দাসপুরের একটি গ্রামে। আর একজন ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা। রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।
দু’দিন আগেই দিল্লি ফেরত ঘাটাল শহরের এক যুবক এবং চিকিৎসা সূত্রে আরও এক ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে বর্তমানে মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল সাত। আক্রান্তদের প্রত্যেককে পাঁশকুড়ার বড়মা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নিয়ম মেনে আক্রান্তেরা যে এলাকার বাসিন্দা, সংশ্লিষ্ট গ্রাম গুলির একাংশ সিল করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মুম্বই ফেরত ঘাটাল ও দাসপুরের চার পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে তিনজন স্থানীয় শিবিরে ছিলেন। আরেকজন বাড়িতে হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। অন্যদিকে দিল্লি ফেরত ক্ষীরপাই এলাকার আক্রান্ত যুবক স্থানীয় একটি হাইস্কুলের সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবির গুলিতে থাকা অন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ২০ জনকে। তাঁদের প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ঘাটাল মহকুমায় মোট পাঁচজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে।নিয়ম মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
জেলা স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ঘাটালের আক্রান্ত দুই যুবক ২৫ মে স্পেশাল ট্রেনে মুম্বই থেকে ঘাটালে ফিরেছিলেন। ২৬ মে ঘাটাল হাসপাতালের তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২৩ মে দাসপুরের দুই যুবকও ট্রেনে দাসপুরে পৌঁছন। ২৬ মে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্যদিকে ২২ মে দিল্লি থেকে বাসে করে ফিরেছিলেন ক্ষীরপাইয়ের ওই যুবক। ওই দিনই মেদিনীপুরে তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়।
একলাফে ঘাটাল মহকুমায় পাঁচ পরীযায়ী শ্রমিকের করোনা পজ়িটিভ হওয়ার খবরে ‘অস্বস্তি’তে পড়েছে প্রশাসন। সোমবারই আবার ঘাটাল এলাকায় রাস্তায় নেমেছে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস। রাস্তায় লোকজনের ভিড়ও বেড়েছে। মহকুমা জুড়ে রাত অবধি সব দোকান খোলা থাকছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিয়েছেন, “এবার হয়তো সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। তাই আমাদের আরও সচেতন হয়ে ঘরের বাইরে বেরোতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy