ফাইল চিত্র
বাইরে থেকে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে কড়া হয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। বিশেষ প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে হলে নিতে হচ্ছে অনুমতি। আর এতেই বিপাকে পড়েছেন আইআইটি চত্বরের বিভিন্ন স্টলের ব্যবসায়ীরা। করোনায় ‘ফিট সার্টিফিকেট’ চেয়ে তাঁদের অনেকেই এ বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
দিন দু’য়েক ধরে এমন চলায় অস্বস্তিতে পড়েছেন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার করোনা সতর্কতায় ক্লাস বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পড়ুয়াদের হস্টেল না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাইরে থেকে কেউ আইআইটিতে আসতে পারবেন না বলেও ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। একান্ত প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে অথবা বাইরে থেকে এলে নিতে হবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি। সেই মতো নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে বাড়ি যাওয়ার আবেদন জমার হিড়িক পড়েছে পড়ুয়াদের। তবে সমস্যায় পড়েছেন আইআইটি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কাজে আসা মানুষজন। বিশেষ করে আইআইটির টেকনোলজি মার্কেট, বিভিন্ন হস্টেলের স্টলের ব্যবসায়ীরা রীতিমতো সঙ্কটে পড়েছেন। প্রতিষ্ঠানের মূল গেটে ঢুকতে গেলেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই মিলছে না প্রবেশের অনুমতি। এর অবস্থায় আইআইটিতে ঢুকতে মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে করোনার ‘ফিট সার্টিফিকেট’ চাইছে অনেকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে করোনার ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা নেই। তাই ওই শংসাপত্র দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, একজন মানুষের শরীরে করোনার জীবাণু প্রবেশের ১০ দিন পরেও সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই তিনি সংক্রমণের শিকার কি না তা আগাম দেখে বোঝার উপায় নেই। ফলে, করোনা নেই বলে শংসাপত্র দেওয়ার এক্তিয়ার হাসপাতালের নেই। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইআইটিতে ব্যবসার কাজে যান এমন কয়েকজন ব্যবসায়ী আমার কাছে করোনার ফিট সার্টিফিকেটের জন্য এসেছেন। কিন্তু আমাদের এমন শংসাপত্র দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু মানুষ বুঝতে চাইছেন না। তাই সমস্যা হচ্ছে।”
এই পরিস্থিতিতে আতান্তরে পড়েছেন আইআইটিতে কাজে যাওয়া ব্যবসায়ীরা। খড়্গপুর শহরের ব্যবসায়ী বরুণকুমার সাউ বলেন, “আইআইটি-র সরোজিনী নায়ডু হলে (হস্টেল) আমাদের স্টল রয়েছে। স্টলটি বৌদি সন্ধ্যা সাউ দেখভাল করেন। দিন কয়েক আগে বৌদি আইআইটি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই বিহারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার ফেরার পরে শনিবার আইআইটিতে গেলে বৌদিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বলেছে, ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দিলে ঢুকতে দেবে। কিন্তু হাসপাতাল ওই সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। খুবই সমস্যায় পড়েছি।” আইআইটির টেকনোলজি মার্কেটের বহু দোকানি থেকে আইআইটির ঠিকাকর্মীরাও এই সমস্যায় পড়েছেন। নানা প্রশ্নের বাধা পেরিয়ে কোনওক্রমে দোকান খুললেও ক্রেতার দেখা মিলছে না।
এ প্রসঙ্গে খড়্গপুর আইআইটি-র রেজিস্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “এই রাজ্যে এখনও করোনা নেই। আমরা আগাম সতর্কতায় নানা পদক্ষেপ করছি। যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের যতটা সম্ভব পরীক্ষা করে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ভিন্ রাজ্য বা দেশ থেকে আসা মানুষের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy