প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় চিন ফেরত, জেলার চার বাসিন্দার উপরে নজরদারি চালাতে হয়েছে। খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা ইরান ফেরত এক দম্পতির উপরেও এ বার নজরদারি শুরু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই দম্পতি সম্প্রতি ইরানের তেহরান থেকে দেশে ফিরেছেন। এই মুহূর্তে তাঁরা আছেন মহারাষ্ট্রের পুণেতে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে। সূত্রের খবর, বুধবারই ওই নির্দেশিকা এসেছে। এখন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কী করণীয় তা ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা মানছেন, ‘‘রাজ্যের নির্দেশ পেয়েছি। জেলা থেকে যে পদক্ষেপ করার করা হচ্ছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এ জেলায় ইতিমধ্যে চারজনের উপরে নজরদারি চলেছে ঠিকই তবে করোনাভাইরাস নিয়ে এখানে আতঙ্কের কিছু নেই। এ জেলার কারও ওই ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর নেই।’’ তিনি জানান, জেলা সতর্ক রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এ জেলায় এখনও উদ্বেগের কিছুই নেই।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, ওই নির্দেশিকায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল এবং মহকুমা হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার জন্য দ্রুত জায়গা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। সেখানে অন্তত তিনটি শয্যা রাখতে হবে। প্রয়োজনীয় আরও কিছু পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলির সুপারদের কাছেও ওই নির্দেশিকা পৌঁছনো হয়েছে। ওই সূত্রে খবর, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে জেলার চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবির হতে পারে।
জানা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) তৈরি করা হতে পারে। পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে ইতিমধ্যেই জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। মেডিক্যালের এক আধিকারিক জানান, ‘‘ওই বিশেষ ওয়ার্ডে থাকা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ পোশাক দরকার। সারা শরীর ঢাকা সেই বিশেষ পোশাক কেনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy