এই শৌচাগার ফের তৈরি নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র
সুলভ শৌচাগারের পুনর্নির্মাণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই নেতার দ্বন্দ্বে শোরগোল শিল্পশহরে। জানা গিয়েছে, সুতাহাটার প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল এবং হলদিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের মধ্যেই এই লড়াই।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে তৎকালীন পুরবোর্ড সুতাহাটা বাজার সংলগ্ন এলাকায় চৈতন্যপুরগামী বাসস্টপের পাশের গলিতে একটি খোলা শৌচাগার নির্মাণ করেছিল। যাতায়াতের জন্য ওই শৌচালয়ের সামনে প্রায় আট ফুটের মোরাম রাস্তা রয়েছে। বর্তমান ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের প্রস্তাবিত নতুন প্রকল্পের আওতায় পুরনো শৌচালয়টি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। নির্মাণকাজের জন্য শৌচালয়ে যাওযার রাস্তার পাশের ১৩টি দোকানকে ওই জায়গা থেকে উঠে যেতে বলা হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবী। তাঁরা জানান, ওই শৌচালয়ে যাতায়াতের জন্য প্রায় ৮ ফুটের একটি পথ রয়েছে। প্রয়োজনে আরও এক ফুট জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি ওই রাস্তার পাশের দোকানদাররা। কিন্তু তাঁরা ওই জায়গা ছাড়তে রাজি নন। স্থানীয় ব্যবসায়ী অরিন্দম মণ্ডল বলেন, ‘‘উন্নয়নে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু উন্নয়নের জেরে আমাদের বলি হতে হবে, এ কেমন কথা!’’ ওই অঞ্চলের আর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘শৌচাগারে যাতায়াত করার জন্য অনেকটা রাস্তা ছাড়া আছে। প্রয়োজনে আমরা আরও কিছুটা জায়গা ছেড়ে দেব। কিন্তু জোরজবরদস্তি আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলা ঠিক নয়। তা ছাড়া পুনর্বাসন নিয়েও আমাদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করা হয়নি।’’
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলারকে বারবার এ বিষয়ে অনুরোধ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল বলেন, ‘‘উন্নয়নের নামে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। আমি তৃণমূলের পুরনো কর্মী। উন্নয়ন কাকে বলে আমি জানি। অন্যের ক্ষতি করে কারও উন্নয়ন করা যায় না।’’
সুতাহাটা বাজার কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সরকারি মহলে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এর আগেও অটো-টোটো স্ট্যান্ড করা হবে বলে জোর করে ২৫টি দোকান তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই সব দোকানদার এখনও পুনর্বাসন পাননি।
এদিকে এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের পাল্টা দাবি, ‘‘প্রাক্তন বিধায়কের বাধায় কাজ এগোচ্ছে না। আমরাও ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের পক্ষে নই। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যে ২৫টি দোকান তুলে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে দরিদ্র কয়েকজনকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।’’
বিজেপির হলদিয়া এক নম্বর নগর মণ্ডল সভাপতি দুর্গাপদ দাসের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল এমন একটা দল যাদের কোনও নীতি বা আদর্শ নেই। নিজেদের মধ্যেই এরা লড়াইতে ব্যস্ত। তা হলে উন্নয়ন হবে কী করে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy