প্রতীকী ছবি।
রাত ৯টা বাজতেই কমলা হল সিগন্যালের আলো। বৃহস্পতিবার রাত থেকে খড়্গপুর শহরের ইন্দা ও পুরাতনবাজার মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে এমনই পরিবর্তন করেছে পুলিশ।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে অবহেলায় পড়ে ছিল খড়্গপুরের শহরের ইন্দা ও পুরাতনবাজার মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যাল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বয়ংক্রিয় ওই সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করেছে পুরসভা। সিগন্যাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। প্রতিদিন সকাল থেকে ওই দুই মোড়ে সিগন্যাল মেনে চলাচল করছে যানবাহন। এমনকী, কেউ নিয়ম ভাঙছে কি না, তা দেখতে নজরদারি চালাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছিল রাতে।
কী সমস্যা? রাত ৯টার পরে ওই সিগন্যালে নিয়ম মেনে লালবাতি জ্বলছিল। কিন্তু একই সঙ্গে নিয়ম ভেঙে চলছিল রাস্তা পারাপারও। রাতে কমে যায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা। ফলে শহরের বাইরে থেকে আসা যানবহনের চালকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল।
পুলিশের দাবি ছিল, শহরে ওই সময়ে যান চলাচলের চাপ অনেক কম থাকায় ট্রাফিক পুলিশের প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে আনন্দবাজারে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার পরেই শহরের ওই দুই মোড়ে থাকা ট্রাফিক সিগন্যালে কিছু বদল করেছে পুলিশ। রাত ৯টার পরে ওই ট্রাফিক সিগন্যালে লাল-সবুজ আলোর বদলে শুধু কমলা আলো জ্বলছে। এর অর্থ, সাবধানে ধীরে এগিয়ে যাওয়া।
খড়্গপুর শহরের ইন্দা ও পুরাতনবাজার মোড়ে বছর খানেক আগে সিগন্যাল বসানো হয়। যদিও চালু হয়নি সিগন্যাল। দিন কয়েক আগে চালু হয় সিগন্যাল।
বিভ্রান্তি বন্ধ হওয়ায় খুশি যানবাহনের চালকেরা। এগরার গাড়ি চালক প্রদীপ জানা বলেন, “রাতে ট্রাফিক সিগন্যালের যদি প্রয়োজন না হয় তার জন্য অনেক জায়গায় এমন কমলা আলো জ্বলে। খড়্গপুরে আগে এসে দেখেছিলাম রাতে লাল আলো জ্বলছে। অনেকেই সিগন্যাল না মেনে রাস্তা পেরিয়ে যাচ্ছে। এবার কমলা আলো জ্বলায় সুবিধা হল।” বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “ওই সিগন্যালের মানুষ যাতে রাতে সাবধানে চলাফেরা করে তাই রাত ৯টার পরে কমলা আলো জ্বলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy