ওল্ড দিঘার সমুদ্রসৈকত। —ফাইল চিত্র।
টুরিস্ট বাসে করে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে হইহই করে বেড়াতে এসেছিলেন দিঘা। কিন্তু আচমকা দুর্ঘটনা। ওল্ড দিঘায় উত্তাল সমুদ্রে স্নানে নেমে তলিয়ে গেলেন হুগলির চাঁপাডাঙার বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা অরিন্দম দে (২০)। সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে চাঁপাডাঙা কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন অরিন্দম। বেড়াতে এসে শোকে পাথর পরিবার এবং বন্ধুরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার চাঁপাডাঙা থেকে দিঘায় বেড়াতে আসেন অরিন্দম এবং তাঁর বন্ধুবান্ধব-পরিজনেরা। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা। তবে গাড়ি ছাড়ার আগে আর এক বার সমুদ্রস্নানে যান সবাই। তার পরেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিকাল নাগাদ সমুদ্রে ভেসে যান ওই যুবক। বুধবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে দিঘা থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আবেগের বশে সমুদ্রের বেশ খানিকটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন অরিন্দম। আচমকা একটি বড়সড় ঢেউয়ের ধাক্কায় সমুদ্রে তলিয়ে যান দুই যুবক। সবার চিৎকার শুনে নুলিয়ারা ছুটে এসে জলে ঝাঁপিয়ে এক জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলেও অরিন্দমের কোনও সন্ধান মেলেনি। পরে পুলিশকর্মীরা এসে তল্লাশি চালায়। কিন্তু অরিন্দমের খোঁজ মেলেনি। বুধবার সকালে ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটের কাছে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ এবং নুলিয়ারা দেহটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে দিঘায় ছুটে আসেন অরিন্দমের পরিজনেরা। তাঁরা এসে দেহ শনাক্ত করেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অরিন্দমের মামা দেবুপম গোস্বামী বলেন, ‘‘গত শনিবার চাঁপাডাঙা থেকে একটি গাড়ি ছেড়েছিল। সেই গাড়িতে করে একদল বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিল অরিন্দম। মঙ্গলবার সবার ফেরার কথা ছিল। বাড়ি ফেরার আগে বিকেল ৪টে নাগাদ জনা কয়েক ছেলের সঙ্গে অরিন্দম সমুদ্রে নেমেছিল। সেই সময় উত্তাল ঢেউয়ে ২ জন তলিয়ে যায়। এক জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও অরিন্দমের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।’’ আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘‘অরিন্দম এ বার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে চাঁপাডাঙা কলেজে ভর্তি হয়েছিল। ওর বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। এমনটা যে ঘটবে কেউই ভাবতে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy