নন্দীগ্রামে হামলায় জখম তৃণমূল কর্মী। নিজস্ব চিত্র।
ভোট ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগেই নির্বাচনী আঁচ লেগেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্য দিকে অভিযুক্তদের ধরপাকড়ে যাওয়া পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। যা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের অন্তর্গত গোকুলনগর অঞ্চল তৃণমূলের আয়োজনে মহেশপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মাঠে একটি জনসভা হয়। অভিযোগ, সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দুষ্কৃতীরা বাঁশ-লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণ করে। এই হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হন তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান অশোক দাস, তৃণমূল কর্মী অনুকুল পণ্ডা, ভরত দাস। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি শেখ আসগর আলি (পল্টু)। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি মহেশপুরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা। আসগরের অভিযোগ, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে গায়ের জোরে জিতেছে বিজেপি। এই নির্বাচন নিয়ে এখনও মামলা চলছে হাই কোর্টে। লোকসভা নির্বাচনেও একই কায়দায় ভয় দেখিয়ে, হামলা চালিয়ে ভোটে জেতার ছক কষেছে বিজেপি। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছি আমরা।’’
রাতেই অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় দু’জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর পরেই বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, দোষীদের গ্রেফতারের নামে রাতভর একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাসের অভিযোগ, ‘‘মহেশপুরে একটি ঝামেলাকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিজেপি নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করেছে পুলিশ। রাতভর কয়েক জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’’ কেশবপুরের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী নবীন হালদারের অভিযোগ, ‘‘গভীর রাতে আমার বাড়ির দরজা ভেঙে বিশাল পুলিশ বাহিনী ভিতরে ঢোকে। আলমারি-সহ গোটা ঘর তছনছ করে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমি নির্দোষ জেনে পুনরায় আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছে।’’
তবে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের দাবি, ‘‘নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই নন্দীগ্রামে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে মহেশপুরে তৃণমূলের চার জন নেতা-কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। সবই বিজেপির ষড়যন্ত্র। এলাকায় সন্ত্রাস করে ভোট লুট করার আগাম পরিকল্পনা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy