উত্তর বরোজে পাল্টা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত ভগবানপুর-২ ব্লকের বরোজ। সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। তাদের লক্ষ্য করে পুলিশের সামনে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার বিকেলে কাঁথি রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সভা ছিল বিজেপির। সভার মুখ্য বক্তা ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুরে বরোজ এবং অর্জুননগর থেকে ৩০টি অটোতে করে বিজেপি কর্মীরা কাঁথির সভায় যাচ্ছিলেন। হেড়িয়ার কাছে খেজুরির দেবীচকে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি অটোতে তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরে বিজেপি কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে পড়লে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে খেরিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পৌঁছেয়। যদিও, তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি কর্মীরা। পরে, তারা শুভেন্দু সভায় না গিয়ে বাড়ি ফিরে যান। এদিন সভা মঞ্চে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই অশান্তি প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বরোজে আমাদের দলের কর্মীদের আটকেছে। কটকা-দেবীচকে ও আটকেছে। তারপরেও সভা হয়েছে।’’
যদিও, শুভেন্দুর সভা শেষ হওয়ার পর উত্তর বরোজ গ্রামে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য মানব পড়ুয়া বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হওয়ার পর বাড়ি ফেরার সময় আমাদের একটি দলীয় কার্যালয় ভেঙে দিয়েছে বিজেপির লোকজন। সমস্ত টালি ভেঙে দিয়েছে। এমনকি পুলিশ যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে তার জন্য রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, ‘‘বরোজে তৃণমূলের লোকজন একটা জায়গায় বসে মদ আর সাট্টা আসর বসাত। এদিন কে বা কারা ভেঙেছে, সে খবর আমরা জানি না। তবে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় আমাদের দলের লোকেদের উপরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। পুলিশের সামনে আমাদের দলের লোকেদের কে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়েছে। কেউ সভায় আসতে পারেননি।’’ তবে, এ ব্যাপারে কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা কাঁথির সভায় আসার পথে সাময়িক উত্তেজনা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। পরে বরোজে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছে। সব ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy