ঘুষ নেওয়ার সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক রেল আধিকারিক। শুক্রবার রাতে রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের দফতরের অফিস সুপারিন্টেনডেন্ট (ওএস) পদে কর্মরত অরিন্দম দাসকে পাকড়াও করে সিবিআই। সিবিআইয়ের কলকাতা শাখার আধিকারিকেরা খড়্গপুর রেলের ডিভিশনাল কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরার পরে ওই রেল আধিকারিককে গ্রেফতার করে। গভীর রাতে ধৃতকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা বলেন, “আমাদের ওই অফিস সুপারিন্টেনডেন্ট টাকা নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। সিবিআই ওঁকে গ্রেফতার করেছে। সিবিআই বিষয়টির তদন্তও করছে।”
রেল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ওই আধিকারিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার কাছে খবর ছিল, একাধিক ঠিকাদারের থেকে কাজের পরিবর্তে টাকা নিচ্ছিলেন অরিন্দম। সম্প্রতি স্থানীয় ঠিকাদার শ্যামল রায়ের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরই সিবিআই অরিন্দমকে নজরে রাখতে শুরু করে। যদিও ঠিকাদার শ্যামলবাবু এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
শুক্রবার বিকেলে সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল খড়্গপুরে আসে। এরপর রেলের ডিভিশনাল কার্যালয়ে ফাঁদ পেতেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। পরে অরিন্দমের বিল পাশ করানোর আর্জি জানানো হয়। সেই কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা নিতে গিয়ে অরিন্দম দাস ধরা পড়েন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এক সিবিআই অফিসারের কথায়, “ওই রেল আধিকারিক এক ঠিকাদারের কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। আমরা ফাঁদ পেতেছিলাম। ওই ঠিকাদারের মারফত ঘুষ দেওয়ার সময়ে আমরা ওই আধিকারিককে পাকড়াও করি।”
এ ভাবে রেলের আধিকারিকদের ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেফতারের ঘটনা নতুন নয়। তবে খোদ ডিভিশনাল কার্যালয়ে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে। রেলের এক কর্মী বলেন, “যে সব দফতরের সঙ্গে ঠিকাদারের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, সেখানেই ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তবে এর জাল ঊর্ধ্বতন আধিকারিক পর্যন্ত ছড়ানো রয়েছে। সেগুলিও সিবিআইয়ের দেখা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy