Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বাড়ছে টেলিফোন কেবলের তার চুরি, বিপর্যস্ত পরিষেবা

প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে টেলিফোনের কেবল-এর তার। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ক্ষতির বহর বাড়ছে টেলিফোন দফতরের। মেদিনীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের এসডিও (টেলিফোন) বিলাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, “গত জানুয়ারি মাস থেকে কেবলসে্‌র তার চুরির ঘটনা বেড়ছে। গত তিন দিনে শহরের প্রায় ১৫টি জায়গায় তার চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা।’’

চলছে কেবল মেরামতির কাজ।—নিজস্ব চিত্র।

চলছে কেবল মেরামতির কাজ।—নিজস্ব চিত্র।

সৌমেশ্বর মণ্ডল
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৫ ০০:১৯
Share: Save:

প্রায় প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে টেলিফোনের কেবল-এর তার। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা। ক্ষতির বহর বাড়ছে টেলিফোন দফতরের। মেদিনীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের এসডিও (টেলিফোন) বিলাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, “গত জানুয়ারি মাস থেকে কেবলসে্‌র তার চুরির ঘটনা বেড়ছে। গত তিন দিনে শহরের প্রায় ১৫টি জায়গায় তার চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে দুষ্কৃতীরা তার চুরি করছে, সেটাই আশ্চর্যের।’’
টেলিফোন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত টেলিফোনের কেবলের তার মাটির নীচেই থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন বক্স (ডি পি বক্স)-এ সেই তার সংযুক্ত করা হয়। এই বক্সগুলি থেকেই গ্রাহকদের টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হয়। মাটির উপরে থাকা এক একটি বক্স থেকে এলাকায় ২০টি টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীরা মাটি ও ডিপি বক্সের মধ্যবর্তী অং‌শের তার কেটে নেওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে টেলিফোন পরিষেবা। মেদিনীপুর টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কেবলস্‌ দেখাশোনার জন্য মাত্র দু’জন কর্মী রয়েছেন। ফলে কোথাও তার চুরি গেলেও পুনরায় তা মেরামতি করতে সময় লাগছে। নাজেহাল হচ্ছেন গ্রাহকরা।
মেদিনীপুরের নানুরচক, রবীন্দ্রনগর, কেরানিতলা, অরবিন্দনগর, পাটনাবাজার, জগন্নাথমন্দির এলাকা, সঙ্গত বাজার, বড়বাজার, নতুনবাজার এলাকায় আকছার চুরির ঘটনা ঘটছে। গত মাসেই কেরানিতলা ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দু’টি মোবাইল টাওয়ারের ট্রান্সফর্মার থেকে ফিউজ চুরি হয়ে যায়। বিদ্যুৎ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। যদিও মেরামতিতে দেরি হওয়ায় দু’দিন টাওয়ারের পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়। শহরের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘শহরে নামেই পুলিশের নজরদারি চলে। নেশাগ্রস্তদের উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পুলিশ তাঁদের নামমাত্র ধরে থানায় নিয়ে যায়। আবার ছেড়েও দেয়। অথচ নেশাগ্রস্তদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে কেউ উদ্যোগী হয় না।’’নেতাজিনগরের বাসিন্দা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাড়ির টেলিফোন লাইন খারাপ ছিল। চার দিন পর ঠিক হয়েছে। টেলিফোন খারাপ থাকলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।’’ একই বক্তব্য, বক্সিবাজার দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা রবিশঙ্কর ভট্টাচার্যেরও।

বিলাসবাবুর কথায়, ‘‘কেবলের মধ্যে তামার তার থাকে। এই তামার লোভেই তার চুরি করছে দুষ্কৃতীরা। কোতয়ালি থানায় লিখিত ভাবে ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অংশুমান সাহা বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আইসি কোতয়ালি সুশান্ত রাজবংশীর দাবি, ‘‘শহরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE