মার হাতে মিষ্টিমুখ আরাত্রিকার।
মেদিনীপুর শহরের মাধ্যমিকে দুই সেরা ছাত্রছাত্রীই মেডিক্যাল নিয়ে পড়তে চায়। একজন ডাক্তার হতে চায়। অন্য জন হতে চায় শিক্ষিকা।
মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ মণ্ডলের প্রাপ্ত নম্বর ৬৭১। বাবা শুভেন্দু মণ্ডল সহ- কৃষি অধিকর্তা। মা সঙ্গীতাদেবী গৃহবধূ। সৌম্যদীপ বাংলায় পেয়েছে ৮৬, ইংরেজিতে ৯১, গণিতে ১০০, জীবনবিজ্ঞানে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৬, ভূগোলে ৯৮। ভাল ফল হবে জানত এই মেধাবী ছাত্র। কিন্তু এতটা ভাল হবে বুঝতে পারেনি। তার কথায়, “পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। জানতাম ভাল ফল হবে।” অবসরে গোয়েন্দা গল্পের বই পড়ে সৌম্যদীপ। ক্রিকেট খেলতেও ভালবাসে। তার কথায়, “এক সময় খুব ক্রিকেট খেলেছি। এখন আর ততটা খেলা হয় না।” সৌম্যদীপ ডাক্তার হতে চায়।
বাবা-মার সঙ্গে সৌম্যদীপ।
মেদিনীপুর মিশন গালর্সের ছাত্রী আরাত্রিকা রায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬৮। বাবা কিংশুক রায় ধান্যশোল হাইস্কুলের সহ- শিক্ষক। মা পারমিতাদেবী গৃহবধূ। আরাত্রিকা বাংলায় পেয়েছে ৯০, ইংরেজীতে ৯২, গণিতে ৯৮, জীবনবিজ্ঞানে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৬, ইতিহাসে ৯৫, ভূগোলে ৯৭। পরীক্ষা ভাল হয়েছিল। তাই ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল এই মেধাবী ছাত্রীও। আরাত্রিকা বলছিল, “ঘড়ি ধরে কখনও পড়াশোনা করিনি। একটানা তিন- সাড়ে তিন ঘন্টা পড়তাম। তারপর একটু বিশ্রাম নিতাম।” অবসরে গল্প লিখতে ভালবাসে। ছোট থেকেই লেখালিখি করার অভ্যাস। কৃতী ছাত্রীর কথায়, “গল্প লিখতে খুব ভাল লাগে।” আরাত্রিকা
মেডিক্যাল নিয়ে পড়ে শিক্ষিকা হতে চায়।
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy