Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

কেশপুরে বোমাবাজি, হামলার নালিশ দাঁতনে

লোকসভা ভোটের পরেই তেতে উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা। সেই গোলমাল এখনও চলছে।

ফেলে দেওয়া হয়েছে বাসন। কেশপুরে। নিজস্ব চিত্র

ফেলে দেওয়া হয়েছে বাসন। কেশপুরে। নিজস্ব চিত্র

 নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯ ০০:১৮
Share: Save:

লোকসভা ভোটের পরেই তেতে উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা। সেই গোলমাল এখনও চলছে।

কেশপুরের চরকায় বিজেপির কর্মী- সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতের ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘কেশপুরে গোলমালের কোনও খবর নেই। পুলিশ সব সময়ে নজরদারি চালাচ্ছে।’’ বিজেপির অভিযোগ, চরকা ও খসলায় তাদের অন্তত ৩০ জন কর্মী- সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বোমাবাজি ও শূন্যে গুলিও ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী পুলিশের পোশাক পরে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের অভিযোগ, ‘‘কেশপুরের মানুষের থেকে তৃণমূল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই এই হামলা। দুষ্কৃতীরা পুলিশের পোশাকও পরেছিল।’’ তৃণমূলের দাবি, বিজেপিই কেশপুরে অশান্তি করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি সিপিএমের দুস্কৃতীদের নামিয়ে দিয়েছে। সিপিএমের দুস্কৃতীরা এলাকায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে।’’

দাঁতন ১ ব্লকে আবার তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এটিও শুক্রবার রাতের ঘটনা। তৃণমূলের অভিযোগ, লাকায় বিজয় মিছিলের পরে আলিকষা পঞ্চায়েতের রাউতরাপুরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি মিহির নায়েকের বাড়িতে এসে হামলা করে বিজেপি। মারধরও করা হয়। তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রতুল দাসের দাবি, ‘‘বিজেপির বেশ কয়েকজন এই কাজ করেছে। এক কর্মীর স্ত্রীকেও মারধর করেছে।’’ দাঁতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। বিজেপির পাল্টা দাবি, মিছিল শেষে তাদের পঞ্চায়েত সদস্য তাপস শীটকে রাউতরাপুরে হাটের কাছে হেনস্তা করা হয়। তারপরেই জনরোষ ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার বিজেপি দাঁতন থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল। সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশ কর্মী সমর্থকদের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। গড়বেতা ৩ ব্লকের নয়াবসত পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও করে বিজেপি। একশো দিনের কাজে ‘জব সুপারভাইজার’ নিয়োগে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, এটি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ।

অন্য বিষয়গুলি:

রাজনীতি TMC BJP Political Violences
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy