প্রতীকী চিত্র
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অর্থ সঞ্চয়ের জন্য এখন বেশির ভাগ মানুষই মিউচুয়াল ফান্ডে ভরসা রাখেন। মিউচুয়াল ফান্ড অসংখ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বিভিন্ন আর্থিক উপকরণ যেমন স্টক, বন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করে। কিন্তু কেন বিনিয়োগ করবেন মিউচুয়াল ফান্ডে? এখানে বিনিয়োগ করলে কী কী সুবিধাই বা মিলবে?
পেশাদার ব্যবস্থাপনা
বিনিয়োগকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয়ে গবেষণা করার অথবা আলাদা স্টক বা বন্ড কেনার জন্য সময় বা প্রয়োজনীয় জ্ঞান না-ও থাকতে পারে। একটি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন পূর্ণ-সময়ের, পেশাদার অর্থ ব্যবস্থাপক অর্থাৎ ফান্ড ম্যানেজাররা, যাঁদের মিউচুয়াল ফান্ডের ব্যাপারে সব রকম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। এক জন তহবিল ব্যবস্থাপক ক্রমাগত বিনিয়োগের উপরে নজরদারি চালান। পেশাদারদের দ্বারা পোর্টফোলিও পরিচালনা মিউচুয়াল ফান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলির মধ্যে একটি।
পোর্টফোলিওর বৈচিত্র্য
সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে কোনও একটি একক ব্যবসা অথবা সেক্টরে বিনিয়োগ না করে আপনার বিনিয়োগকে সব সময়ে নানা জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগের এই বৈচিত্র্যের একটি বড় সুবিধা রয়েছে। আপনার পোর্টফোলিওতে যদি একটি বিনিয়োগের মূল্য হ্রাস পায়, তবে অন্যান্য বিনিয়োগ প্রভাবিত না-ও হতে পারে এবং এমনকি তার মূল্য বৃদ্ধিও পেতে পারে। অর্থাৎ, আপনার পোর্টফোলিওর একটি নির্দিষ্ট উপাদান অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও আপনি আপনার বিনিয়োগের সম্পূর্ণ মূল্য হারাবেন না।
উচ্চ লিকুইডিটির সুবিধা
ব্যাঙ্ক আমানতের পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক লিকুইড বিনিয়োগের মাধ্যম হল ওপেন-এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ড, যা অন্যান্য ধরনের বিনিয়োগ যেমন জীবন বিমা, ইনফ্রাস্ট্রাকচার বন্ড, পোস্ট অফিস স্কিম ইত্যাদির তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি লিকুইড।
কম খরচ
মিউচুয়াল ফান্ডের আর একটি সুবিধা হল বিশাল অর্থনীতির কারণে এর লেনদেনের খরচ কম। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ডগুলি প্রচুর পরিমাণে সিকিউরিটি কেনাবেচা করে, তাই প্রতি ইউনিট লেনদেনের খরচ, খুচরো বিনিয়োগকারীরা স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচার খরচের তুলনায় অনেক কম।
করের সুবিধা
অনেক প্রথাগত স্থির-আয় বিনিয়োগের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল করের সুবিধা। ১৯৬১-র আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে, ইএলএসএস ফান্ডে বিনিয়োগ করলে আপনি আপনার করযোগ্য আয় কমাতে পারবেন বছরে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। দীর্ঘ সময়ের জন্য মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা হলে তার জন্য কর কার্যকর হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy