নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাতিশাবকের দেহ। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মাসের এক পুরুষ হাতিশাবকের দেহ উদ্ধার হল সুবর্ণরেখার চরে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে দলমার পালের ৫৫টি হাতি কলাইকুণ্ডার দিক থেকে রওনা দেয়। শাবকটি তাদের সঙ্গেই ছিল। ভোর রাতের দিকে সেই দলটি সুবর্ণরেখা নদী উজিয়ে চাঁদাবিলা রেঞ্জের দেউলবাড় এলাকা হয়ে নয়াগ্রামের তপোবনের জঙ্গলে ঢুকে গেলেও শাবকটি যেতে পারেনি। শনিবার সকালে দেউলবাড় এলাকায় সুবর্ণরেখার চরে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বনকর্মীরা দেহটি উদ্ধার করে চাঁদাবিলা রেঞ্জ অফিস চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে ময়নাতদন্তের পরে দেহটি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
চাঁদাবিলার রেঞ্জ অফিসার বিমলকুমার রাউত বলেন, ‘‘সুবর্ণরেখায় এখন ভাল জল রয়েছে। সম্ভবত সেই নদী সাঁতরে পেরোনোর ধকল নিতে পারেনি শাবকটি।’’ খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে চূড়ান্তভাবে মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব।’’
বন কর্মীরা জানান, প্রায় আট-দশ মাস বয়সী মৃত শাবকটির ওজন এক কুইন্ট্যাল ২০ কেজি। উচ্চতা ৯০ সেন্টিমিটার। সাধারণত শাবক মারা গেলে সন্তান হারা মা-হাতি ও পালের অন্য হাতিরা সেই জায়গায় ফিরে আসে। এ ক্ষেত্রেও মৃত শাবরটির খোঁজে হাতির দলটি ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, দিন পনেরো আগে থেকেই ৩৫টি হাতির দল তপোবনের জঙ্গলে রয়েছে। এছাড়া কলাইকুণ্ডা রেঞ্জের জঙ্গলে থাকা ১৫টি হাতির গতিপথ এখন তপোবনের দিকেই। নতুন করে ৫৫টি হাতি তপোবনে যাওয়ায় বনকর্মীরা হাতিদের গতিবিধির দিকে নজর রেখেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy