Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বনভোজনে রক্ত দিলে নিখরচায় পেটপুজো

বনভোজন মানে শুধু খাওয়াদাওয়া, আড্ডা আর নাচ-গান নয়, এর সঙ্গে জুড়ে যেতে পারে সামাজিক কর্তব্যও। এমন ভাবনা গড়বেতার ‘শ্যামা সেবায়তন’-এর। কাল, রবিবার গনগনিতে তাদের বনভোজনে তাই থাকছে রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্ত দেবেন তাঁদের বনভোজনে চাঁদাও দিতে হবে না।

সুমন ঘোষ
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬
Share: Save:

বনভোজন মানে শুধু খাওয়াদাওয়া, আড্ডা আর নাচ-গান নয়, এর সঙ্গে জুড়ে যেতে পারে সামাজিক কর্তব্যও। এমন ভাবনা গড়বেতার ‘শ্যামা সেবায়তন’-এর। কাল, রবিবার গনগনিতে তাদের বনভোজনে তাই থাকছে রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্ত দেবেন তাঁদের বনভোজনে চাঁদাও দিতে হবে না।

অন্যতম উদ্যোক্তা সুনীল পাড়ুই বলছেন, “সব অনুষ্ঠানের সঙ্গেই রক্তদান জুড়ে দিতে চাইছি। রক্ত দিলে ক্ষতি হয় না। কিন্তু প্রয়োজনে রক্ত না পেলে মৃত্যুও হতে পারে। অন্যের প্রাণ বাঁচানোর মতো আনন্দ আর কিছুতে আছে নাকি।” ছেলের বিয়েতেও রক্তদান শিবির করেছিলেন সুনীলবাবু। আমন্ত্রিতদের কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, রক্তদানই হোক উপহার। অতিথিরা রক্ত দিয়ে সেই উদ্যোগ সফল করেছিলেন। বনভোজনে রক্তদানের আয়োজন েনে খুশি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা। তিনি বলেন, “এ ভাবেই রক্তদানকে সামাজিক আন্দোলনের রূপ দেওয়া সম্ভব। আমিও ওই বনভোজনে যাব।”

গড়বেতার মোলডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের সংস্থা ‘শ্যামা সেবায়তন’ বছরে ন্যূনতম ছ’বার রক্তদান শিবির করে। সম্প্রতি বিভিন্ন হাসপাতালে রক্তের সঙ্কটের কথা সংস্থার সদস্যদের কানে আসে। প্রতি শীতে সংস্থার পক্ষ থেকে বনভোজন হয়। এ বার তাই বনভোজনেই রক্তদান শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৭০। তাঁদের আত্মীয়, বন্ধুরাও বনভোজনে আসবেন। সংস্থার সম্পাদক দিবাকর বেরা বলেন, “ভাত, সব্জি, পাঁঠার মাংস, চাটনি খাওয়ার পাশাপাশি রক্তদান চলবে। তাতে বনভোজনের আনন্দও বাড়বে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Blood donation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy