প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের মহিলা সমর্থককে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তমলুকের শ্রীরামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান মঞ্জু বেরার স্বামী গুরুপদ বেরা। ওই ঘটনার পর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির ওই প্রধান। মঙ্গলবার অভিযুক্ত গুরুপদ বেরার জামিন মঞ্জুর হল আদালতে।
তমলুকের শ্রীরামপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জু বেরার বাড়িতে হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধান মঞ্জু বেরার বাড়িতে একশো দিনের কাজ চাইতে গেলে তাঁর স্বামী গুরুপদ মারধর, শ্লীলতাহানি ও অপমানজনক মন্তব্য করে বলে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক তৃণমূল সমর্থক। অভিযোগের ভিত্তিতে ১৪ জানুয়ারি তমলুক থানার পুলিশ গুরুপদকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে গুরুপদর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। ওই ঘটনার পর ১৬ জানুয়ারি পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জুদেবী ও আর এক পঞ্চায়েত সদস্য কৃষ্ণা দাস বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন। প্রধান পদে তাঁকেই রাখা হবে এবং তাঁর স্বামীর জামিন পাওয়ার জন্য সাহায্য করা হবে এমন শর্তেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বলে জানিয়েছিলেন মঞ্জুদেবী। সেইমত তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মঞ্জুদেবীর স্বামী গুরুপদর জামিনের জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তৎপর হয় বলে অভিযোগ।
গুরুপদর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো মানসী বর্মন গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি যে অভিযোগ করেছেন তার মীমাংসা হয়ে গিয়েছে। তাই গুরুপদর জামিন হলে তাঁর আপত্তি নেই। যদিও দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বিচারক সেদিন গুরুপদর জামিন নাকচ করেন। গত ১৯ জানুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগকারী ও দুই সাক্ষীর গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেন তমলুক আদালতের বিচারক। এরপর মঙ্গলবার আদালতে গুরুপদর জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি হয়। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক গুরুপদর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
মঞ্জুদেবীর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান এবং তাঁর স্বামীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি ও মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করার অভিযোগ করেছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। মঞ্জুদেবীর স্বামী জামিনে মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় এ দিন বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস বলেন, ‘‘মঞ্জুদেবী ও তাঁর পরিবার তৃণমূলের অত্যাচারের শিকার। গুরুপদবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিল। মঞ্জুদেবীকেও জোর করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয়েছে। আমরা তাঁর পরিবারের পাশে আছি।’’
তমলুকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরার অবশ্য দাবি, ‘‘এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে মঞ্জুদেবী নিজের ইচ্ছাতেই বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর স্বামীর গ্রেফতারের সঙ্গে দলে যোগ দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আদালতের নির্দেশেই গুরুপদবাবু জামিন পেয়েছেন।’’ সোমনাথবাবু জানান, আগামি সোমবার থেকে মঞ্জুদেবী পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে কাজ শুরু করবেন। ওইদিন পঞ্চায়েত অফিসের সামনে সভায় থাকবেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy