আবার শুক্রবার তলব করা হয়েছে সৌমেন্দুকে। —ফাইল চিত্র।
দু’দিনে প্রায় ১৭ ঘন্টার বেশি সময় একাধিক মামলায় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হলেন সৌমেন্দু অধিকারী। সোমবার কাঁথি থানায় ঢুকেছিলেন সকাল ১০টা নাগাদ। থানা থেকে বেরোলেন সন্ধ্যা ৫টায়। তদন্তকারীদের আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিশির-পুত্র দিলেন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।
পাশাপাশি শুক্রবার সৌমেন্দুকে আবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এ বার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। এ নিয়ে সৌমেন্দুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দফায় দফায় জেরা না করে এক দিনে করে নিলেই ভাল হত।’’ গত শুক্রবার পথবাতি দুর্নীতির মামলায় কাঁথি থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে সারদার জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর। থানা থেকে বেরিয়ে সৌমেন্দু অবশ্য বলেন, ‘‘পুরসভার একটি ফাইল মিসিং (নিখোঁজ) নিয়ে আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।’’
প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বেশ কিছু অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেন সৌমেন্দুকে নিরাপত্তার কারণে খেতেই দেওয়া হয়নি! বাড়ির খাবার নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে এ নিয়ে নিজে থেকে কিছু বলতে চাননি সৌমেন্দু। বলেন, ‘‘আগামী শুক্রবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ মামলায় আমাকে আবার ডেকেছে। তদন্তকারীদের সহযোগিতা করেছি, করব।’’ এর পর খানিক কটাক্ষ সুরে বলেন, ‘‘আমি ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে তৃণমূল ছেড়ে এসেছি। তার পরে ওই চেয়ারে তিন জন বসেছেন। মামলা হল ২০২২ সালের জুন মাসে। সেখানে শুধুমাত্র আমাকেই ডাকা হচ্ছে। অন্যদের তো ডাকা হচ্ছে না! সবাই সব বুঝতে পারছে।’’
সোমবার থানায় ঢোকার সময় সঙ্গে গল্পের বই নিয়ে গিয়েছিলেন সৌমেন্দু। কিন্তু তাঁকে বই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন,‘‘সব সময় তো তাঁরা (তদন্তকারীরা) থাকেন না। তাই বাড়ি থেকে গল্পের বই নিয়ে এসছিলাম। সেটাও তারা মানা করলেন। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy