বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলায় এখনও সভাপতি নেই বিজেপির পাঁচটি মণ্ডলে। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক তমলুকেই ৫টি মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করা এখনও হয়ে ওঠেনি বিজেপির। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গেরুয়াশিবিরের এই ‘গড়িমসি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের খোঁচা, বিজেপি নেতা পাচ্ছে না। ওই ৫ এলাকায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কথা ঠারেঠোরে স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তবে তাঁরা আশাবাদী, দ্রুত ওই ৫ সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে বিজেপির দু’টি সাংগঠনিক জেলা, তমলুক এবং কাঁথি। ওই দু’টি সাংগঠনিক জেলায় রয়েছে মোট ৪৪টি মণ্ডল কমিটি। সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতির দায়িত্বে আসার পর পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জেলা কমিটি এবং মণ্ডল কমিটি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বদল হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতিও। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিলেও তমলুক সাংগঠনিক জেলায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে গেরুয়াশিবির। সেখানে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করতে গিয়েই বিজেপির ‘মসৃণ’ গতি থমকে গিয়েছে। ঘটনাচক্রে এই তমলুক সাংগঠনিক জেলাতেই অবস্থিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রাম।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তমলুক সাংগঠনিক জেলার হলদিয়া, সুতাহাটা, ময়না উত্তর, ময়না দক্ষিণ, তমলুক গ্রামীণ— এই ৫টি এলাকায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বিজেপির একটি অংশের ব্যাখ্যা, শুভেন্দু এবং সুকান্তের মতপার্থক্যের জেরেই থমকে রয়েছে ওই ৫ এলাকায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের কাজ। বিজেপির তমলুক সাংগঠিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, ‘‘৫টি মণ্ডলে সভাপতি নির্বাচন এখনও বাকি আছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিবেচনা করছেন। আলাপ আলোচনা চালাচ্ছেন। উচ্চনেতৃত্বের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই এই জায়গাগুলিতে সভাপতির নাম ঘোষণা হবে।’’
তবে তপনের উল্টোসুর শোনা যাচ্ছে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের কাছে। ওই অংশের বক্তব্য, হলদিয়া, সুতাহাটা, ময়না, তমলুক এই সব এলাকায় বিজেপির প্রভাব বেশি। আবার একইসঙ্গে ওই এলাকায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়েও বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব চরমে, এমনটাই মত অনেকের। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে এই টানাপোড়েনকে হাতিয়ার করে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমরা দেখেছি রাজ্যের অনেক জায়গতেই বিজেপি নেতা পাচ্ছে না। অনেক জায়গাতেই সামান্য ভোটার রয়েছে। আমরা আশাবাদী, বহু জায়গাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা তৃতীয় স্থানে চলে যাবে। এখন অনেক জায়গায় বিজেপি-সিপিএম আঁতাঁত তৈরি হয়েছে। এমন হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কিছু জায়গায় লড়াই হবে।’’ তবে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারবে না বলেই সৌমেনের মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy