আনিসুর রহমান। নিজস্ব চিত্র
এক সময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন। বছর খানেক আগে যোগ দেন বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের তখন বক্তব্য ছিল, জেলায় তৃণমূলের আঁতুড়ঘরে দাঁত ফোটাতে বিজেপিকে হয়তো সাহায্য করবেন ওই নেতা।
গত এক বছরে অবশ্য অন্য ছবি সামনে এসেছে। পাঁশকুড়ার ওই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে রাজনীতির ময়দানে সে ভাবে দেখা যায়নি। কারণ, এই এক বছরে আনিসুরের নাম জড়িয়েছে একাধিক মামলায়। যার জেরে জেলেই কেটেছে অধিকাংশ দিন। বর্তমানে তৃণমূল নেতা কুরবান শা’কে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আনিসুর। এতে তাঁর ‘ভাবমূর্তি’ কালিমা লিপ্ত হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। পাশাপাশি, তাদের প্রশ্ন, এমন এক নেতাকে নিজেদের দলে স্থান দেওয়ায় আমজনতার কাছে কি বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না! যদিও জেলার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, আনিসুরের গ্রেফতারিতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না।
পুলিশ সূত্রের খবর, কুরবান-হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ানোর আগেও আনিসুরের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি মামলা চলছিল। তাতে ধর্ষণের মতো গুরুতর মামলাও রয়েছে। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে তাদের দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে পাঁশকুড়ার আদি বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আনিসুরের সংঘাত শুরু হয়েছিল। পাঁশকুড়া পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলার সিন্টু সেনাপতির সঙ্গেও একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছেন তিনি।
গ্রেফতারের পরেও অবশ্য আনিসুরের পাশেই রয়েছেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নবারুণ নায়েক। তাঁর কথায়, ‘‘আনিসুর বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁকে তো বিজেপি করতে দেওয়াই হয়নি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অধিকাংশ সময় ওঁকে থাকতে হয়েছে জেলে। জেলায় যেখানে যেখানে তৃণমূল দুর্বল, সেই সব জায়গায় বিজেপি নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। মানুষ বুঝে গিয়েছে কুরবানকে কে বা কারা খুন করেছে। আনিসুরের বিরুদ্ধে এই চক্রান্তের জবাব মানুষ আগামী বিধানসভা ভোটে দেবে।’’
আনিসুরের গ্রেফতারির পরে পাঁশকুড়া এলাকায় বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচি যে বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে, তা নিয়ে একমত জেলার আদি বিজেপি কর্মী-নেতাদের একাংশ। অনেক বিজেপি নেতা-ই ‘ভয়ে’ প্রকাশ্য কর্মসূচি এড়িয়ে চলছেন বলে দাবি। এই পরিস্থিতে আনিসুরের গ্রেফতারির পরে পাঁশকুড়া এলাকায় বিজেপির হয়ে এখন নেতৃত্ব দেবেন কে?
নবারুণের জবাব, ‘‘বিজেপি বৃহৎ শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। এখানে দলে কে এলেন, কে গেলেন, সেটা বিষয় নয়। আনিসুরের গ্রেফতারিতে দলের ভাবমূর্তি এতটুকুও ক্ষুণ্ণ হয়নি। পাঁশকুড়া এলাকায় তৃণমূলের অনেক নির্বাচিত সদস্য বিজেপিতে আসার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। ঠিক সময়ে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy