নন্দীগ্রামে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন। — নিজস্ব চিত্র।
শনিবার রাতে এলাকায় সভা ছিল বিজেপির। তার পরেই নন্দীগ্রাম থানার আমদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৯ নম্বর বুথ এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন। বিজেপির অভিযোগ, পার্টি অফিসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লুটপাটের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য তৃণমূলকে সরাসরি দায়ী করেছে বিজেপি। যদিও গোটা ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকেই পাল্টা দায়ী করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কিয়াখালি এলাকায় বুথ স্তরের বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা বৈঠক সেরে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই রাতের অন্ধকারে ওই পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বিজেপি নেতৃত্ব এসে আগুন নেভাতে চেষ্টা করলেও তত ক্ষণে আগুনের গ্রাসে গোটা পার্টি অফিস।
বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘এ বার তৃণমূলকে পরাস্ত করে আমদাবাদ অঞ্চলের দখল নিয়েছে বিজেপি। তার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শনিবার এলাকায় আমাদের বৈঠক শেষ হতেই পার্টি অফিসে আগুন ধরানো হয়।’’ তাঁর দাবি, পার্টি অফিসে দলীয় বিজেপির পতাকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার ছবি, ব্যানার ও লিফলেট ছিল। আগুনে সবই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
পার্টি অফিসে আগুন ধরানোর ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ করছে বিজেপি। যদিও বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকেই পাল্টা দায়ী করছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুনীলবরণ জানা বলেন, ‘‘আমদাবাদে বিজেপির চরম গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। যার মূলে রয়েছে আদি বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বনাম নব্য নেতা মেঘনাদ পালের গোষ্ঠীর বিবাদ। শনিবার এখানে মেঘনাদ পাল সভা করেছিলেন। কে বা কারা ওই পার্টি অফিসে আগুন ধরাতে পারে তা বিজেপিই বলতে পারবে। তৃণমূল এই ধরনের রাজনীতি করে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy