শো-কজ করা হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় দু’হাজার ভোটকর্মীকে। প্রতীকী ছবি।
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় দু’হাজার ভোটকর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সংখ্যক কর্মীর কাছে শোকজের চিঠি পৌঁছেছে বলে জেলা প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি। জবাব খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণে যে সব কর্মী গরহাজির ছিলেন, সেই সব কর্মীকেই শো-কজ করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক জগদীশপ্রসাদ মিনা মানছেন, “যে সব ভোটকর্মী প্রথম প্রশিক্ষণে আসেননি, তাঁদের শো-কজ করা হয়েছে। জবাব খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” জেলা নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের এক কর্মীর কথায়, “ওই সংখ্যক কর্মীর কাছে এই সময়ের মধ্যে শো-কজের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে।”
জেলা প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, অনেকে শোকজের জবাব দিতেও শুরু করেছেন। কারও দাবি, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। কারও দাবি, অন্য জরুরি কাজ থাকায় আসতে পারেননি। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের এক কর্তার কথায়, “একে একে সব জবাবই খতিয়ে দেখা হবে। সদুত্তর না এলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি ব্লক রয়েছে। ওই কর্তার কথায়, “দেখা গিয়েছে, কমবেশি সব ব্লকেই প্রায় ১০ শতাংশ ভোটকর্মী প্রথম প্রশিক্ষণে আসেননি।
কোনও ব্লকে গরহাজির ভোটকর্মীর সংখ্যা ১০০-১১০, আবার কোনও ব্লকে ১১০-১২০।” বস্তুত, পঞ্চায়েতের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরপরই জেলায় ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের তোড়জোড় শুরু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটের জন্য প্রায় ২২ হাজার কর্মী প্রয়োজন। এই সংখ্যক কর্মীর কাছেই ভোটের ‘ডিউটি’র চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
জেলায় বুথের সংখ্যা ৩,৭৩০টি। আর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৩,২৫৯টি। অর্থাৎ, কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একাধিক বুথ রয়েছে। সব সময় আবার ২০ শতাংশ বাড়তি কর্মী রাখতে হয়।
এক-একটি বুথে ৫ জন করে ভোটকর্মী থাকার কথা। একজন প্রিসাইডিং অফিসার। বাকিরা পোলিং অফিসার। এক-একজনের এক-এক কাজ। কে কী কাজ করবেন তাও নির্দিষ্ট রয়েছে। ভোটকর্মীদের দু’দফায় প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা। সেই মতো জেলায় সব ব্যবস্থা করাও হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই এই ব্যবস্থা। প্রথম প্রশিক্ষণ হয়েছে মহকুমাস্তরে। এরপর রয়েছে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ। বুথে সামান্য অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলেও অনেক সময় ভোটকর্মীদের শো-কজের মুখে পড়তে হয়। তাই ভাল ভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়াটা জরুরি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “গত বিধানসভা ভোটের সময় মেদিনীপুরের এক বুথের প্রিসাইডিং অফিসার-সহ ৬ জন ভোটকর্মীকে শো-কজ করা হয়েছিল। ওই বুথে পুনরায় ভোটগ্রহণের নির্দেশ হয়েছিল।”
তাঁর কথায়, “ওই ক্ষেত্রে ভোটকর্মীদের চূড়ান্ত গাফিলতি ছিল। এ ঘটনায় ওই গাফিলতি সামনে আসে। কর্তব্যে গাফিলতি না হলে ওটা হত না।” তিনি বলেন, “ভোটকর্মীরা ঠিকঠাক ভাবে দায়িত্ব পালন করলে কখনওই কোনও ভুল হবে না।”
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট ব্যালটে হবে। এ ক্ষেত্রেও সতর্কতা জরুরি। সামান্য ভুলও অনেক সময় বড় সমস্যা তৈরি করে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy